কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে দিলেন দৌঁড়। শেষ রক্ষা হল না যৌতুকের কারনে স্ত্রীকে হত্যা মামলার মূল আসামির। প্রায় এক কিলোমিটার দৌঁড়ে অবশেষে ধান ক্ষেতের মাঝখান থেকে প্রধান আসামিকে ধরতে সমর্থন হন নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা।
’দুপুরে মামলা, সন্ধ্যায় গ্রেফতার’ এই ধরনের সফল অভিযান জনগণের কাছে পুলিশের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসার স্থান অনেকাংশে বেড়ে গেল।
গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুল কাইয়ুম (৩০) নেত্রকোনার সদর উপজেলার দরুন বালী গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যার একটু আগে কাইয়ুকে দরুন বালী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ২০১৪ সালে জেলার বারহাট্টা উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের দুলন আক্তারের সাথে আব্দুল কাইয়ুমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই দম্পত্তির ঘরে সন্তান জন্মের ৬ দিনের মাথায় শিশুটি মারা যায়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে বলে রাতেই দুলনাকে মাটি দেয়া হয়।
এরপর থেকে দুলনের মা আলেয়া আক্তার ভেতরে ভেতরে মেয়ে হারা যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য মেয়েকে চাপ প্রয়োগ ও নির্যতন করত, এ বিষয়গুলো নিহতের মাকে ভাবিয়ে তুলে। তিনি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন, তার মেয়েকে নির্যাতন করে রাতেই মাটি দেয়া হয়েছে এবং আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশনায় সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়।
নেত্রকোনার মডেল থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা জানান, দুপুরে মামলার পরে সন্ধ্যার একটু আগে দরুন বালী এলাকায় অভিযানে যায়। পুলিশে উপস্থিতি টের পেরে কাইয়ুম ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে দৌঁড় দেয়। প্রায় এক কিলোমিটার দৌঁড়ে ক্ষেতের মাঝখান থেকে আসামিকে ধরতে সক্ষম হই। আটকের পর সফল অভিযানের এক স্বস্তি নিঃশ্বাস উপভোগ করি।
তিনি আরও জানান, আসামিকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।