লোকমান হাফিজঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায়। বর্ষার সময় আসতে না আসতেই পাহাড়ী ঢল নেমে চলে আসে বন্যা। প্রতিবছর কৃষকরা বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে যাতে পাকা বোরো ধান নষ্ট না করে। সেজন্য কৃষকরা পাকা ধান কাটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অনেক সময় ধান ভাল হলেও নির্ধারিত সময়ে কাটা না শুরু করলে ধানগুলো ঘরে তোলা যায় না। বৃষ্টির পানিতে কিংবা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের।
তবে এ বছর শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় জমির ধান সহজে কাটা, ঝাড়াই-মাড়াই ও বস্তাবন্দি করার জন্য কৃষিক্ষেত্রে সরকারের প্রণোদনার অংশ হিসেবে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এবার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের কম্বাইন্ড হারভেস্টার ২০ লাখ সরকার ভর্তুকি দিয়ে ১০ লাখ টাকায় কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলী জানান, এ বছর গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৮ হাজার ২শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে ইরি ও বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষাবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টরের মতো। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় হাজার হেক্টরের বেশি। যদি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে না পড়তে হয় তাহলে এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কৃষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করছে। কৃষকদের মাঝে নগদ অর্থ, বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ করছেন। দেশের উন্নয়ন করতে হলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য কৃষিতে সরকার ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে।