কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি কর্তৃক মেডিকেল কর্মকর্তাকে কোম্পানীর ঔষধ লিখতে চাপ প্রয়োগে পর মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে।
এ ঘটনায় মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মেহেদী হাসান (৩০) মঙ্গলবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং থানা পুলিশ ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি আতাউল করিম ওরফে মাফুজ মড়লকে (২৮) আটক করেছে।
আটককৃত মাফুজ মড়ল উপজেলার চন্ডিগড় মড়ল বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে এবং তিনি রিলায়্যান্স নামক ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি পদে কর্মরত ও স্থানীয় একটি ডায়ানষ্টিক সেন্টারের অংশিদারীত্ব রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বর্হিঃবিভাগের ১০৩ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছিলেন। অফিস চলাকালীন সময়ে কোন ঔষধ কোম্পানির লোক হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে প্রবেশ করতে পারবে না মর্মে কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে মাফুজ মড়ল ওই কক্ষে অনধিক প্রবেশ করেন।
ডাক্তারকে রিলায়্যান্স কোম্পানীর ঔষধ প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে ডাক্তার মেহেদী প্রেসক্রিপশনে ওই কোম্পানীর ঔষধ লিখতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্রয় প্রতিনিধি মাফুজ মড়ল চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন এবং এক পর্যায়ে কিল ঘুষিতে ওই ডাক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে বিক্রয় প্রতিনিধি।
থানায় অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, এর আগেও মাফুজ মড়ল তার ঔষধ কোম্পানির ঔষধ লেখাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে অপমান, অপদস্ত, বিভিন্নভাবে হয়রানি করাসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, দুর্গাপুর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা লিখিথ অভিযোগ দায়ের করেছেন। মাফুজ মড়লকে আটক করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) আদালতের সময় অতিবাহিত হওয়ায় আসামিকে আগামীকাল (বুধবার) আদালতে সোপার্দ করা হবে বলে জানান তিনি।