শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

৩ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে প্রাণ ঝরেছে ১০ হাজার ৮১৬ জনের

যা যা মিস করেছেন

গত বছর মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিচারে গুলি করে আমেরিকানদের হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৬ শতাধিক। এতে প্রাণ গেছে ১৯ হাজার ২২৩ জনের। আরও ২৪ হাজার আমেরিকান মারা গেছে বন্দুকের গুলিতে, যার অধিকাংশই আত্মহত্যা ছিল। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, বন্দুকের গুলিতে নিহতের এ সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৩% বেশি। আর চলতি বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বিচার গুলি বর্ষণে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এরমধ্যে গত তিন সপ্তাহেই মারা গেছে ২২ জন। এরমধ্যে দুই পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। অর্থাৎ দিন যত যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ কর্তৃক অসহায় মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার প্রবণতাও বেড়েই চলছে। এমনকি, এ বছর ভিকটিমের মধ্যে শিশুও রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চেয়ে বর্ণ-গোত্র বিদ্বেষ প্রভাব ফেলছে এমন অপরাধে। গত বছরের মে মাসে মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েডকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে গোটাবিশ্বে টালমাটাল অবস্থা তৈরি হলে  যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সিটিতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। দোকান ভাংচুর, লুটতরাজের ঘটনাও ঘটেছে বিক্ষোভের আড়ালে।

একদিকে পুলিশী আচরণের নিন্দা, প্রতিবাদ এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি, আরেকদিকে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যায় প্রবৃত্ত হয় উগ্রপন্থি অথবা করোনায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়া কিছু লোক।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৩ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছে মোট ১০ হাজার ৮১৬ জন। এরমধ্যে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ৬ হাজার ১৩৮ জন। আর ঘাতকের বুলেটে প্রাণ কেড়েছে অবশিষ্ট ৪ হাজার ৬৭৮ জনের। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা ৭৩। এসব ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ হাজার ৩১৯ আমেরিকান। আহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৪১।  নির্বিচার গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১২১টি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বন্দুকের গুলিতে মারা গেছে ১৫ হাজার ২০৮ জন। সে বছর নিজ আগ্নেয়াস্ত্রে কতজন আত্মহত্যা করেছে সে তথ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ২০১৮ সালে মারা গেছে মোট ২৪ হাজার ৪৩২ জন। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৮৫৪।

এমন অবস্থা বন্ধে গত নির্বাচনের আগে জো বাইডেন অঙ্গীকার করেছিলেন। সে অনুযায়ী ডেমোক্রেটদের ভোটে প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাশ হলেও সিনেটে রিপাবলিকানদের অনীহার কারণে তা ঝুলে রয়েছে। সেই বিলে বলা হয়েছে যে, মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়কারীর অতীত রেকর্ড পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অর্থাৎ যারা অপরাধী বা সবসময় গরম মেজাজ নিয়ে চলাফেরা করে তাদের কাছে মারাত্মক অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security