বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একযোগে বিজেপিবিরোধী সব নেতাকে চিঠি লিখে মমতা দাবি করেছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে। অবিজেপি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। সময় এসে গিয়েছে বিজেপির এই সংবিধানের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে।
মমতার সেই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তাবে সাড়া দিলেন পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি। মমতার চিঠির জবাব দিল কংগ্রেস এবং শিব সেনাও।
নন্দীগ্রামের ভোটের ঠিক আগের দিন তৃণমূলনেত্রীর লেখা এই তিন পাতার চিঠি গিয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের মতো ১৫ জন নেতার কাছে। রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীনই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার কাছে মমতার এই চিঠি যাওয়াটা আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও মমতার প্রস্তাব নিয়ে মুখ খোলেনি। শুধু এআইসিসির পক্ষ থেকে রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন,“রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস নেতৃত্ব বহু দিন ধরেই এই ধরনের বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজনের কথা বলে আসছেন। তবে মমতার চিঠি যেহেতু সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে লেখা, তাই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।”
কংগ্রেসের আরেক মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল শুক্রবার কলকাতায় ভোটপ্রচারে এসে আবার মমতাকে কটাক্ষ করে বলছেন,“বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন জানালেও একটু বেশিই দেরি করে ফেলেছেন। মমতার মেকি বিজেপি বিরোধিতা সভানেত্রী ধরে ফেলেছেন। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে মমতার মুখোশ খুলে গিয়েছে। তিনি বাংলা ও ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ক্ষতি করে বিজেপিকে সাহায্য করেছেন। এখন নিজে বাঁচাতে সোনিয়া গান্ধীর সাহায্য চাইছেন। এটা আর সম্ভব নয়। আসলে তৃণমূল ও বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।”
কংগ্রেস নারাজ হলেও মেহবুবা মুফতি কিন্তু মমতার সঙ্গে একমত। তিনি বলছেন,“আমি আপনার সঙ্গে একমত। দেশের গণতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য বিরোধীদের একজোট হওয়া জরুরি। এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার আশঙ্কা বুঝি এবং আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করি।”