সাম্প্রদায়িকতা শব্দটি পজিটিভ অর্থে ব্যবহার হতো বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার ডয়েচে ভেলের একটি টক শোতে এমন দাবি করেন নুর। টক শোতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা শব্দটা কিন্তু প্রথম দিকে পজিটিভ অর্থে ব্যবহার করা হতো, বিশেষ করে ১৮২৭ সালে কলকাতার ‘দর্পণ’ পত্রিকায় বলা হয়েছিল, একজন মানুষকে নিয়ে যে, তিনি সাম্প্রদায়িক, পরোপকারী, মন্যুষত্ব, সহনশীল ব্যক্তি ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে তার একটা লেখায় বলেছিলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সৌন্দর্য চর্চা ও সৌন্দর্য পূজা বলিয়া একটা সাম্প্রদায়িক ধুয়া আছে। এখনকার সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িকতা বা সাম্প্রদায়িক বিষয়টা একটা পজিটিভ অর্থে ব্যবহার করা হয়।’
নূরকে থামিয়ে টকশো সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তার লেখায় সাম্প্রদায়িক শব্দটি পজিটিভ অর্থে লিখেননি।’ এটা শোনার পর নুর হেসে দেন। এরপর নুর বলেন, আমার কাছে শব্দটি পজিটিভ মনে হয়েছে।
নুর আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িক শব্দটি কীভাবে আসলো? ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিধানসভার একটা বিলের বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বলেছিল ওটা তো একটা সাম্প্রদায়িক বিল। কারণ হচ্ছে, দেশভাগের আগে ওই যে কৃষক-প্রজা বিল নিয়ে… যেহেতু মুসলমানরা আন্দোলন করছিল হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে… সেই জন্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বলছিল, এটা সাম্প্রদয়িক বিল’।
এরপর খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, কমিউনাল শব্দ থেকে যেহেতু সাম্প্রদায়িক শব্দটি আসছে… আমি আসলে ইতিহাসে যেতে চাই না। তবে নুর, আপনি আপনার উদাহরণগুলো আবার পর্যালোচনা করবেন।