রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজপথে সক্রিয় থাকা রাজনৈতিক কর্মী মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ্ শাহ্ ফকির। রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ্ শাহ্ ফকির উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজপথে থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ২০২৪ সালের গণআন্দোলনেও তিনি ঘাতক হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সারিতে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলে জানান।
তিনি আরও লেখেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তিনি দীর্ঘ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ সময় নিজের নফস ও লোভের বিরুদ্ধে সবসময় সচেতন থেকে লড়াই করেছেন বলে উল্লেখ করেন। আন্দোলনের পথ কঠিন হয়ে উঠলে আত্মসম্মান ও নৈতিক অবস্থান বজায় রেখে তিনি নিজেকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন বলেও জানান।
দীর্ঘদিন অরাজনৈতিক অবস্থান শেষে পুনরায় প্রকাশ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজপথের কর্মসূচিতে অংশ নেন। তবে তিনি কোনো দলীয় পদ-পদবীতে ছিলেন না—এ বিষয়টি ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট করেন।
মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ্ শাহ্ ফকির বলেন, তার রাজনৈতিক অবস্থান ছিল মূলত গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আশার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য। তবে সে দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি—এমন আত্মসমালোচনাও করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির বর্তমান জোটের বিরুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং একই সঙ্গে এনসিপির প্রতি তার সব ধরনের মানসিক ও শারীরিক সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত ক্ষতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। স্বল্প এই সময়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসায়িক পুঁজি ও পারিবারিক জীবনে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ্ শাহ্ ফকির। তবে এসব ক্ষতি তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবেই গ্রহণ করেছেন এবং কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি লেখেন,
“ক্ষমতা আর জনতার স্লোগান ধরিয়ে যারা ক্ষমতায় ছুটলেন, তারা ভালো থাকবেন। আমি থাকলাম আমার জনতার সাথে।”
এদিকে মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ্ শাহ্ ফকিরের এ ঘোষণার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


