রিয়াদ ইসলাম জলঢাকা:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) সংসদীয় আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা ও আলোচনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এখনো ঘোষণা না হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা মতামত ও প্রত্যাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি ইতোমধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রথম ধাপে নীলফামারী জেলার চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নীলফামারী-১ ও নীলফামারী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
পরবর্তীতে নীলফামারী-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে নীলফামারী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নীলফামারী-৩ আসনটি ঐতিহাসিকভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি এলাকা। ফলে এখানে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সাংগঠনিক শক্তি, জনপ্রিয়তা ও স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন।
এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জলঢাকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আলী। দলীয় সূত্র জানায়, তিনি ইতোমধ্যে দলীয় নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
একই সঙ্গে তিনি দলের ঘোষিত রাজনৈতিক কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হলে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে তারা এও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্থানীয় কয়েকজন সাধারণ ভোটার মনে করেন, এলাকার উন্নয়ন, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা প্রার্থিতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
আবার কেউ কেউ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের ওপরই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী কৌশল নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আলহাজ্ব সৈয়দ আলী বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই। দল যাকে যোগ্য মনে করবে, আমি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব।” নীলফামারী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা।


