রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত শহীদ উসমান হাদী হত্যার বিচারের দাবিতে নীলফামারীর ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শুক্রবার(১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্বর থেকে ‘আপামর জুলাই ঐক্য সাধারণ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিভিন্ন ছাত্র, যুব ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিজয় চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রূপ নেয়।
কর্মসূচির শুরুতে শহীদ উসমান হাদীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় যারা আপসহীন ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করার চেষ্টা একটি পরিকল্পিত অপশক্তির বহিঃপ্রকাশ।
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ উসমান হাদীর হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি মতপ্রকাশ ও প্রতিবাদের কণ্ঠ দমনের ধারাবাহিক অংশ। তারা অবিলম্বে হত্যার নির্দেশদাতা ও জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচার কার্যকর করার জোর দাবি তোলা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন— স্বেচ্ছাসেবক দল ডিমলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান সবুজ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাইদুজ্জামান বাবু, ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি প্রিন্স লিমন হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সেলিম ইসলাম সাগর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আশরাফুল আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ডিমলা উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী জিয়ারুল ইসলাম জিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদ ডিমলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিনুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন।
বক্তারা স্পষ্ট করে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।


