নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আঠারোবাড়ি-কেন্দুয়া সড়কের মরিচপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি চালক ছোটন মিয়া (৩২) নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ছোটন মিয়া রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মৃত পসর আলীর ছেলে। নসিমন ট্রলিতে মালামাল পরিবহন করাই ছিল তাঁর পেশা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ছোটন মিয়া তাঁর ধানের খড় বোঝাই ট্রলি নিয়ে রোয়াইলবাড়ির আমতলা থেকে নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামে যাচ্ছিলেন। গন্ডা ইউনিয়ন এর মরিচপুর এলাকায় পৌঁছালে আনোয়ার সিমেন্ট গ্রুপের একটি ১০ টন ধারণক্ষমতার খালি ট্রাক পেছন থেকে ট্রলিটিকে পরপর তিনবার ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলিটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই ছোটন মারা যান।
কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে ছোটনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের ভাষ্য, হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ছোটনের বুকে ও বাম হাতে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ট্রাকটি আটক করেন এবং ট্রাকে থাকা দুজনের একজন হেলপার মোহাম্মদ হোসেন আলীকে (৩৭) ধরে ফেলেন। তিনি নীলফামারীর চিলাহাটি এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে।
হোসেন আলী জানান, তিনি ড্রাইভার নন- শুধু হেলপার হিসেবে কাজ করেন। প্রকৃত ড্রাইভার ইসমাইল (৪০), তার বাড়ি পাথরঘাটা, বরিশাল জেলায় দুর্ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ছোটন আমার জমির খড় নিয়েই নান্দাইল যাচ্ছিল। হঠাৎ এমন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু-ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছি না।
ছোটনের ভাই রাসেল মেম্বার (৪০) ট্রাকচালক ইসমাইলের শাস্তি দাবি করে বলেন, আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। এর সঠিক বিচার চাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিহির রঞ্জন দেব বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। হেলপার হোসেন আলীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।


