দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে সারা দেশের মতো এখানেও সহকারী শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়ায় পরীক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পৌর এলাকার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতিতে অবস্থান নিয়েছেন। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহা এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শামসুন্নাহার বেগম পরীক্ষা পরিচালনা করেন।
বাইরে অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সহকারী শিক্ষক তাজরিয়া ইয়াসমিন কাকন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছি। আমি ২০ বছর ধরে একই পদে একই স্কেলে চাকরি করছি। বেতন স্কেল উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতি এই তিনটি দাবি পূরণ হলেই আমরা পরীক্ষায় ফিরবো। সহকারী শিক্ষক মার্জিয়া খাতুন বলেন, দাবিগুলো মানা হলে আমরা পরীক্ষায় ফিরে আসবো। আজ আমরা পরীক্ষা বর্জন করেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করলেও তা স্বাভাবিক পরিবেশে হচ্ছে না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
অভিভাবকেরা বলছেন, বিদ্যালয়ে এসে দেখেন শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে। সারা বছর পড়ালেখার পর পরীক্ষার সময় এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। সরকার দ্রæত ব্যবস্থা নিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুক, এমন দাবি জানান তারা। দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শামসুন্নাহার বেগম বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন এটা তাদের যৌক্তিক দাবি। সেই কারণেই তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার রুটিন পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং আজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ এসে পরীক্ষা শুরু করেছেন।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমি এবং দপ্তরি মিলে পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করছি। এ নিয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, বিদ্যালয়ে এসে দেখি অভিভাবকরা অসন্তোস প্রকাশ করছেন। প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় পরীক্ষা শুরু করি। আমাদের উপজেলায় ১২৬টি বিদ্যালয় রয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগেই সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন, তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন না। তারপরও আমরা উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।