দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে শিক্ষার্থীদের বাইরে রেখে দর্জি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে প্রতিকার চেয়ে রবিবার (৩০ নভেম্বর) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন নাজির হোসেন রনি নামে এক যুবক।

জানা গেছে, ২১ নভেম্বর থেকে দুই মাস মেয়াদি এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রথমদিন ১০০ টাকার আবেদনপত্র বিক্রি করা হলেও পরে ধাপে ধাপে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক প্রশিক্ষণার্থী ইতোমধ্যে টাকা পরিশোধও করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, গৌরীপুর উপজেলার পশ্চিম কাওরাট গ্রামের মাহবুবুর রহমান ফয়সাল তার দলের সদস্যদের নিয়ে ‘রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল সেন্টার’ এর ব্যানারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের জুগিয়াখালী মনির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাইজবাগ ইউনিয়নের উত্তর মাইজবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দখল করে অবৈধভাবে প্রশিক্ষণ চালাচ্ছেন।

ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়। সকাল ও বিকেল দুই শিফটে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, রূপসী বাংলা টেকনিক্যাল সেন্টার কোনো সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান নয়। তবুও কীভাবে সরকারি বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছে, এ নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলেন। তারা আরো বলেন, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ দখল করে প্রশিক্ষণ চালানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে পরীক্ষার ফলাফলও প্রভাবিত হবে।

রবিবার সকালে সরেজমিন জুগিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টার পরও প্রথম শ্রেণির কক্ষে প্রশিক্ষণ চলছে। ব্যাগ কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম জানায়, আমি ক্লাসে এসে দেখি বড়দের পড়ানো হচ্ছে, তাই দাঁড়িয়ে আছি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রেইনার মাহবুবুর রহমান ফয়সাল তড়িঘড়ি করে প্রশিক্ষণার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে চাইলে ট্রেইনার ফয়সাল বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই প্রশিক্ষণ করছি। স্কুল শুরু হওয়ার আগেই ক্লাস শেষ করি।

অন্যদিকে জুগিয়াখালী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল হক বলেন, আমি অফটাইমে প্রশিক্ষণের অনুমতি দিয়েছি। এর জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে কেন? তিনি ক্ষোভ দেখিয়ে আরও বলেন, যাকে খুশি গিয়ে বলুন। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাহিরের প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ পরিচালনার নিয়ম নেই। অভিযোগ পেয়েছি, যাচাই করছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version