ইবি প্রতিনিধি:
“আসুন আমরা শুদ্ধতার চর্চা করি” এই স্লোগানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবৃত্তির কলাকৌশল ও সাংগঠনিক দক্ষতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র- নজরুল একাডেমিক ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারীতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। কমর্শালার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন “আবৃত্তি আবৃত্তি”। অনুষ্ঠান শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
এসময় সংগঠেনর সভাপতি নওশীন পর্ণিনী সুম্মা সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাজহারুল ইসলাম লিপু, সংগঠনটির আজীবন সদস্য ওবিগত অর্থবছরের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান রানা এবং সাবেক সাহিত্য সম্পাদক নিরব বিশ্বাস ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সাগর।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন, রাফিদা জামান মিথিলা ও সাদিয়া তাবাস্সুম অনামিকা। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, সংগঠনটির কার্যনির্বাহী ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান আলোচক খান মাজহারুল ইসলাম লিপু বলেন, “আবৃত্তি এক অনন্য শিল্প। এর মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো রচনাকে নান্দনিক ভঙ্গিতে শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করা। আবৃত্তির মাধ্যমে শুধু কবিতা নয়, নাটক, প্রবন্ধ, পত্র-সাহিত্যসহ যেকোনো লিখিত বোধ কণ্ঠের সৌন্দর্যে প্রাণ পায়। এই শিল্প মানুষের মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং রচনার গভীরতা শ্রোতার হৃদয়ে পৌঁছে দেয়।”
সভাপতি নওশিন পর্ণিনী সুস্মা বলেন, “আবৃত্তি শুধু শব্দ উচ্চারণের শিল্প নয়, এটি অনুভূতি, অভিব্যক্তি এবং মানবিক সত্তার এক গভীরতম প্রকাশ। আবৃত্তি আমাদের শোনায় শব্দের সুর, ভাষার সৌন্দর্য আর অনুভবের উষ্ণতা।একটি সঠিক বিরতি, একটি নিখুঁত টান, আর একটি শ্বাস এগুলো মিলেই একটি সাধারণ কবিতাকে অসাধারণ হয়ে ওঠার শক্তি দেয়।”
তিনি আরো বলেন, “ আজকের কর্মশালায় আমরা শেখার চেষ্টা করেছি কীভাবে কবিতাকে আত্মস্থ ও শব্দকে প্রাণ দিতে হয়, এবং কীভাবে নিজের অভিজ্ঞতা, আবেগ ও কণ্ঠস্বরের ভিন্নতা দিয়ে একটি লেখাকে নতুন করে জন্ম দেওয়া যায়। আজকের এই আয়োজন আমাদের প্রত্যেককে নিজের ভেতরের শিল্পীকে খুঁজে পেতে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে।”


