নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে তারুণ্যের উৎসব আলোকে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে কবিতা উৎসব হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিজয়পুরের সাদামাটির পাহাড়ে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ এম এ জিন্নাহ।
কালচারাল একাডেমির পরিচালক কবি পরাগ রিছিল এর সভাপতিত্বে ও শফিউল আলম স্বপন এবং মালা আরেং এর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন কবি ও চিন্তক এনামূল হক পলাশ, কবি মতেন্দ্র মানখিন, কবি ক্রসওয়েল খকসী, কবি ও সংগঠক আবুল কালাম আজাদ, কবি ও সম্পাদক কামাল হোসাইন, কবি জালাল উদ্দিন আহমেদ, কবি সরকার আজিজ, কবি লোকান্ত শাওন, কবি সজীম সাইন প্রমুখ।
কবি ও চিন্তক এনামূল হক পলাশ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্ব ভূখণ্ড হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ভূখণ্ড স্বাধীন ও সার্বভৌম। ঢাকা হচ্ছে এর কেন্দ্র। তাই সিম্বোলিক কথা হচ্ছে, ঢাকাই বাংলাভাষীদের সাংস্কৃতিক কেবলা। আর এই সিম্বলের প্রাণ ভ্রমরা হচ্ছে পূর্ব্ব-মৈমনসিংহ। এখানে এখনো বিশুদ্ধ জনগণের সংস্কৃতি রয়ে গেছে। এই বিশুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির টেক্সট হিসেবে আমরা মৈমনসিংহ-গীতিকাকে নিতে পারি। এই পূর্ব্ব-মৈমনসিংহ হচ্ছে, উত্তরে গারো পাহাড় ও সুসং দুর্গাপুর ও দক্ষিণে নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের অন্তর্ব্বর্তী পল্লীসমূহ। এই অঞ্চলটি ছিল ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রভাবমুক্ত। পরবর্তীতে মুসলিম শাসনামলেও এই ভূখণ্ড পূর্ণ রূপে অজেয় থেকে যায়। ফলে আমরা ধরে নিতে পারি এই ভূখণ্ডের সংস্কৃতি স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছে। এখানে জনগণের সংস্কৃতি বিদ্যমান আছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশ ও বিনির্মাণে কবিতার অবদান অসামান্য। সুষ্ঠু সমাজ ও জাতি গঠনে কবিদের ভূমিকা রয়েছে। বাংলা কবিতা তাই শিল্পে, প্রতিবাদে ও মানবিক বোধে দীপ্র। নতুন প্রজন্ম যেন পথভ্রষ্ট না হয় সেজন্য বেশি বেশি এমন আয়োজন করার কথা জানান বক্তারা ৷
আলোচনা শেষে সাদামাটির পাহাড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কবিরা কবিতা পাঠ করেন এবং শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।


