নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রূপসী বাংলা টেলিভিশনের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি লুৎফুজ্জামান ফকিরকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর ঘাট এলাকার কাঠের ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এ প্রতিবেদন লেখা (সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। লুৎফুজ্জামান ফকির সেনাবাহিনী থেকে অবসর প্রাপ্ত ও বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুর ছবি তোলার সময় হঠাৎ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত চাপাতি হাতে নিয়ে সাংবাদিক লুৎফুজ্জামানকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। ওই সাংবাদিকের সাথে থাকা রূপসী বাংলা টেলিভিশনের দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি শাজাহান শেখ ফিরাতে গেলে তাকেও কোপাবে বলে চিৎকার করতে শোনা যায়।
এ সময় আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিকা বলেন, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রূপসী বাংলা টেলিভিশনের দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি শাজাহান শেখ প্রতিবেদককে জানান, লুৎফুজ্জামান ফকিরের হাতে রগ কেটে গেছে। তাকে মমেক হাসপাতালের চিকিৎসকগণ ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেছেন। তিনি আরো জানান, হামলার সাথে জড়িত কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন। তাৎক্ষনিক লিমন ও অস্ত্র ব্যবসাীয় তাজুলের নাম বলেন এবং তাদের সাথে আরো বেশ কয়েকজন ছিল।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ নিয়ে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, লুৎফুজ্জামান ফকির অস্ত্র ব্যবসায়ী তাজুলকে র্যাব দিয়ে ধরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সংবাদ সংগ্রহে প্রতিবেদকের সাথে লুৎফুজ্জামান ফকিরের কয়েকবার সাক্ষাতের সময় অস্ত্র ব্যবসায়ী তাজুলের হামরার শিকার হতে পারেন এবং তাজুলের বিরুদ্ধে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর থানায় অস্ত্রসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেছিলেন।


