নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যরাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের মশাল মিছিল প্রস্তুতকালে ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি মশাল, কেরোসিন তেল ও দিয়াশলাই উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীরা হলেন- নেত্রকোনা সদর উপজেলার অরঙ্গবাদ গ্রামের মো. জমশেদ মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (১৮), একই গ্রামের মো. মেহেদি হাসানের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (১৮) ও মো. তাইজুল ইসলামের ছেলে জুনাইন হাসান রাফি (১৬)। সাতবেরিকান্দা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শাহাদাত রহামন সিয়াম ও মো. দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রিয়াদ মিয়া (১৬) এবং সুলতানপুর গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. আরিফ মিয়া (১৬) ও খতিবনগুয়া এলাকার মো. কামাল পাশার ছেলে মো. সাকিবুল ইসলাম (২১)।
শনিবার (৮ নভেম্বর) নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গতকাল (শুক্রবার) দিনগত রাত ১টার দিকে চল্লিশা-দুধকুড়াগামী নির্মানাধীন বাইবাস রাস্তার উপর থেকে সাত জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ছাত্রলীগ এবং আওয়ালীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। গত শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে সংবাদ পায় সদর থানাধীন চল্লিশা ও বাইপাস এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আ.লীগ এবং এর এর অঙ্গ সংগঠনের লোকজন মশাল মিছিল বের করছে। এ সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই রাত্রীকালীন টহল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। সেই মিছিল থেকে ছাত্রলীগের সাতজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অন্যান্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে কয়েকটি মশাল, কেরোসিন তেল ও দিয়াশলাই উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নয়জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে আজ (শনিবার) দুপুরের দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


