নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী বলেছেন, “দীর্ঘ ষোলো বছর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মনা সকল দল ও মতকে সাথে নিয়ে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। দেশের মানুষের আকাঙ্খা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু পতিত সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে একটি মহল একাত্তরের পরাজিত শক্তি সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিভিন্ন অজুহাত খুঁজছে। কখনো পিআর পদ্ধতি, কখনো গণভোটের নাম করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার পাঁয়তারা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সুস্পষ্ট ঘোষনা- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ভোট ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই অর্জিত স্বাধীনতা আমরা কখনো ভূলুন্ঠিত হতে দিবো না।”
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় নিজের এলাকার হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে বারহাট্টা বাজারে মিছিল সহকারে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি (ড্যানী) বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যিনি অগ্রণি ভূমিকা রেখেছেন, তিনি দেশকে এবং দলের সকল নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। তিনি (তারেক রহমান) বলেছেন, আমাদের অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, কিন্তু দল থেকে একজনকে মনোনয়ন দিতে হবে। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করবেন। আগামির রাষ্ট্র বিনির্মানে বিএনপি’র যে ঘোষনা, তা বাস্তবায়নের জন্য সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।”
নির্ধারিত সময়ে আগামি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই প্রত্যায় ব্যক্ত করে তিনি (ড্যানী) আরো বলেন, “আগামির রাষ্ট্র বিনির্মানে তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত একত্রিশ দফা রাষ্ট্র মেরামতের যে কাঠামো, তা আমরা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছি এবং জনগণকে সচেতন করছি। আগামির রাষ্ট্র কিভাবে চলবে ৩১ দফার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সঠিক সময়ে ভোট হলে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সে অধিকারের মাধ্যমেই জনগণ তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে। জনগণের আকাঙ্খাও তাই। জনগণের আকাঙ্খাকে সাথে নিয়ে বিএনপি সবসময় কাজ করছে, কাজ করে যাবে” এই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এই নেতা।
নেত্রকোনা সদর-বারহাট্টা আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রাপ্তি ও আজকের এ কর্মসূচীর মাধ্যমে বারহাট্টাবাসীর জন্য আপনার বার্তা কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি (ড্যানী) বলেন, “নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন আমার নির্বাচনী এলাকা। আমি দীর্ঘসময় ছাত্র রাজনীতি করেছি, যুবদল করেছি এবং বিএনপি’র নেতৃত্ব দিচ্ছি। কেন্দ্র এবং নেত্রকোনায় ও বারহাট্টায় গত আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি। বারহাট্টা থেকে কখনো এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় নাই। বারহাট্টার মানুষ অবশ্যই আশা করে, বারহাট্টা থেকে তাদের জনপ্রতিনিধি আসুক। আল্লাহ রহমতে যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বারহাট্টাবাসীকে দেখবো। যেহেতু বারহাট্টায় আমার জন্ম, বারহাট্টায় সবচেয়ে বেশি কাজ করবেন” প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন তাঁর নিজ এলাকার অসংখ্য বিএনপি’র সমর্থক এবং জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।


