ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিনামূল্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ফি ও অন্যান্য পেমেন্ট ডিজিটাল উপায়ে পরিশোধ করতে পারবেন।এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর শাখা ছাত্রশিবির ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ইবি প্রশাসন ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিনিধিদের মধ্যে এক বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহের নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী এবং সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ এ.এন.এম তাওহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ ব্রাঞ্চের প্রধান এম রুহুল আমিন ও মনিরুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় নিকটবর্তী শেখপাড়া বাজার সাব-ব্রাঞ্চের ইনচার্জ মোহাম্মদ রবিউল, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ প্রমুখ।
উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ও বর্তমান যুগের চাহিদা অনুসারে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সাফল্যের সাথে গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে আসায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা অতি শীঘ্রই ইসলামী ব্যাংকের সাথে ডিজিটালাইজেশন অব পেমেন্টের ক্ষেত্রে তাদের সাথে নিয়মতান্ত্রিক প্রসেসে অগ্রসর হবো। এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংক পাইলটিং কাজটি শুরু করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সুবিধা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ” এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, “ইনশাআল্লাহ, পেমেন্টের পুরো প্রক্রিয়াটিই অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে।”
ইসলামী ব্যাংকের এ.এন.এম তাওহিদুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে তাদের টিউশন ফি ও অন্যান্য ফি প্রদান করতে পারে, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীরা দেশের যেকোনো স্থান থেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা নিতে পারবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সম্পূর্ণ অটোমেটেড সিস্টেমে রূপ দিতে আমরা এটিএম, সিআরএম ও বাংলা কিউআর কোডসহ আধুনিক ব্যাংকিং সেবা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি।”
মিটিং শেষে শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটাল করবার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলাম। সর্বশেষ আমাদের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক সপ্তাহ সময় আমরা বেঁধে দিয়েছিলাম। প্রশাসন বিশ্বমান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করছি যে এটা খুব দ্রুতই এক্সিকিউশন হবে। আমরা বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে কথা বলেছিলাম। সোনালী, অগ্রণী, ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটা ব্যাংকের সাথে আমরা কথা বলেছিলাম। সবাই সম্ভবত প্রশাসনের সাথে কথা বলেছে। ইসলামী ব্যাংকও এসেছে, অন্যান্য ব্যাংকগুলোও এসেছে। তো সেই জায়গা থেকে আজকেও আসছে প্রশাসনের সাথে বসেছে, তাদের সাথে একটা হয়তো চুক্তিতে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। আর আমরা আশা করছি যে এই আউটপুটটা (ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম) আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে দেখতে পাবো।”


