দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, পাবনা মানসিক হাসপাতালের উন্নয়নে ১৩০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল নামে যে হাসপাতালটা প্রতিষ্ঠিত আছে, সেটা অনেক পুরোনো একটা প্রতিষ্ঠান, বিশাল জায়গা নিয়ে এটা একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে এটা প্রচুর মানুষকে সার্ভ করেছে।

তিনি বলেন, পাবনার মানসিক হাসপাতাল দেশের সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে বিভিন্নভাবে চিত্রায়িত হয়েছে। আমাদের দেশে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি একটি অন্যতম প্রাচীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, যেটা দীর্ঘ সময় ধরে একটা বিশেষ ক্যাটাগরিকে সার্ভ করেছে। এই মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা আসলে বেসিক্যালি আমাদের মনোজগতের বিশাল অধ্যায় জুড়ে জায়গা করে আছে। এটার উন্নয়ন করার সুযোগ পেয়ে আমরা সত্যি আনন্দিত।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করি, তখনই পাবনার মানসিক হসপিটালের উন্নয়ন আমাদের মাথায় আসে।

তিনি বলেন, যদিও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ঢাকায় একটা জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে। এছাড়া বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে স্বাস্থ্য বিভাগ আছে। কিন্তু তারপরও আমরা আসলে খুবই ইন্সট্যান্টলি ফিল করেছি আসলে মানসিক স্বাস্থ্য সার্বিকভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কাঠামোতে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে না। এজন্য আমরা ঢাকার বাইরে হলেও পাবনার মানসিক হাসপাতালকে উন্নয়নে গুরুত্ব দেই।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, পাবনা মানসিক হাসপাতালকে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করার পাশাপাশি সেখানে একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতালের জমি প্রায় ২০০ বিঘা। এর মধ্যে যতটুকুতে স্থাপনা আছে, ওইটুকু ঠিক রেখে বাকিগুলোতে নতুন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। ওখানে প্রশিক্ষণ চলবে। ওখানে এতদিন যাবৎ মানসিক চিকিৎসার বিষয়টা শুধু ডাক্তার কেন্দ্রিক ছিল। এখান থেকে বের হয়ে অন্যান্য বিষয়, যেমন- ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলিং এই ধরনের ওভারঅল কম্প্রহেন্সিভ কেয়ারের জন্য ডাক্তারের পাশাপাশি অন্যান্য প্রফেশনালসেরও ব্যবস্থা রাখা হবে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ঢাকায় তো আসলে অত বড় জায়গা পাওয়া সম্ভব না। আর এটা একটা ঐতিহ্য আছে। সুতরাং এটা ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসলে একটা কম্প্রিহেন্সিভ কেয়ারের জন্য যত ধরনের জনবল দরকার, সবগুলোর প্রশিক্ষণ ওখানে হবে।

তিনি বলেন, ডাক্তারদের এমবিবিএস কোর্সকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এ মাসের শেষ দিকে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) এর একটা পরিদর্শন দল আসবে। তারা আমাদের কয়েকটি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করবেন এবং আমাদের মেডিকেল শিক্ষার মান নিরীক্ষা করবেন।

তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল শক্তিশালী করা হলে আমাদের চিকিৎসা শিক্ষা বিশ্বমানের হবে। অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল না থাকার কারণে আমাদের চিকিৎসকরা এখনো দেশের বাহিরে গেলে নতুনভাবে মান যাচাই পরীক্ষা দিতে হয় অথবা নতুন কোর্স কমপ্লিট করতে হয়। কাউন্সিল শক্তিশালী করা হলে সেটা আর লাগবে না।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version