জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় নলদী ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে হাসমত আলীর (৪৫) বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় ভাইয়া নিজেরা জমি ক্রয়, রাস্তার পাশে বাড়ি করে জায়গা দখল, চলাচলের রাস্তা না দেয়াসহ ফলজ গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তারই ৪ ভাই শওকত আলী, আজমল মুসল্লি, আনোয়ার হোসেন ও সৎ ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধায় সরেজমিনে হাসমত আলীর বাড়িতে গেলে গাছ তুলে ফেলার বিষয়টি নজরে আসে।
হাসমত আলী অভিযোগ করেন, তিনি ২০০১ সালে বিদেশে যান। বিদেশে গিয়ে তার মা ও ভাইদের কাছে টাকা পয়সা দিয়েছেন। তারা জমি ক্রয় করছে নিজেদের নামে কয়েক জায়গায় জমিতে তার নাম থাকলেও বাকিগুলা তারা নিজেদের নামে করেছেন। এমনকি তার বাড়ির জমিও ভাগাভাগি সমানভাবে করে দেয়নি। বাড়ির থেকে বের হওয়ার জন্য একটি পথের জায়গা দাবি করলেও তার বাকি ভাইয়েরা তা দিতে নারাজ। তারা রাস্তার পাশে বাড়ি তুলে তা দখল করে রাখছে। তার টাকায় লাগানো গাছের ফল খেতে দেয়না। পরে তার ঘরের পাশে ৩ বছর আগে একটি জমি ক্রয় করেন সেই জমি থেকেও অন্য ভায়েরা সম্পত্তি জোর করে ভাগ চান বলে অভিযোগ তার। এছাড়া মাঠের যে সকল জমি দলিল করতে বাকি আছে সেগুলাও তারা দলিল করে নিতে চায়। সোমবার (২০ অক্টোবর) হাসমত নড়াইল গেলে তার ঘর থেকে দলিল নিয়ে যায় তার ভায়েরা এবং বাড়ির সামনে লাগানো বেশকিছু ফলজ গাছ তুলে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হাসমত আলীর সৎ মা রাহেলা বেগম বলেন, বিদেশ থেকে বাড়ি এসে হাসমত আমাদের সবাইরে পজিশন দিয়ে বাড়ি করে দিছে। এখন পথ নিয়ে ঝামেলা হয়ছে। সে নিজেই যার যার বাড়ি পথ দেখিয়ে দিয়ে এখন নিজেই পথ উঠোনের পর দিয়ে আটকে গাছ লাগাইছে। এখন পথ দেবেনা সে। একারনে আমার অন্য ছেলেরা গাছ গুলো উঠায়ে পথা বের করছে। আমি চাই আমার ছেলেগের শান্তি। তারা যাতে এক সাথে বসবাস করতে পারে।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাই হাসমত যে জমিতে বসবাস করছে ওই জমি আমরা সকলে মিলে রাখছি এর ভাগ সকলে পাবে। কিন্তু ভাই বলছে জমি সে একাই পাবে সে গোপনে রেজিষ্টি করতে গেছে। এছাড়া আমাদের সকলের যাওয়ার পথ আটকায় রাখছে একারনে গাছ উঠোই ফেলছি আমাদের পথের কারনে।