ইবিপ্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) শাখা ছাত্রদল। রবিবার(১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশে সমবেত হয়ে কুষ্টিয়া- খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
মিছিলে ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস, একসাথে চলে না,’ ‘জুবায়েদ মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই,’ ’আমার ভাই মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,’ ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন,’ ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার,’ ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, খুনিদের ফাঁসি দে,’ ‘জগন্নাথে লাশ পড়ে, ইন্টেরিম কি করে,’ ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই,’ ‘ষড়যন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহসান হাবীব, আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম সদস্য আবু সাঈদ রনি, রাফিজ আহম্মেদ, নুর উদ্দিন, রোকনুজ্জামান, স্বাক্ষরসহ প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “৫ আগস্টের পরে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা দেখছি একের পর এক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছোটভাই জুবায়েদ কে একটি চক্র হত্যা করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বা সাধারণ জনগণ কারো লাশ আমরা দেখতে চাই নি। ইবি ছাত্রদল এই হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে জুবায়েদের খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে ইন্টেরিম সরকারকে। এছাড়া আমাদের ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের খুনীদের যতদিন পর্যন্ত গ্রেফতার না করবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
তিনি বলেন, “গত কয়েকদিনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনায় আগুন লাগিয়েছে পতিত শেখ হাসিনা, আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, সজাগ থাকার বিকল্প নাই, আমাদের মত পার্থক্য থাকবে কিন্তু আমরা শত্রু না।”
তিনি আরও বলেন, “ইবিতে যারা নিয়মিত ছাত্র তাদের জন্য হলের সিটের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো অনিয়মিত ছাত্র হলে থাকতে পারবে না। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে। ইকসু গঠন হবে কোনো ধরনের তালবাহানা চলবে না। ইকসুতে নিয়মিত ছাত্র ছাড়া কোনো এম ফিল, পিএইচডি ছাত্র অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।”
জানা যায়, নিহত জুবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থী মারা গেছেন।’