নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বলাইশিমুল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে এক গৃহবধূর ওপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার (৩৫) কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানা ওসি মো. মিজানুর রহমান। এরআগে গত শনিবার ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিরিন আক্তারের স্বামী লিমন মিয়া প্রবাসে কর্মরত। এ সুযোগে একই গ্রামের রোকেল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী ববিতা আক্তার (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত ছিলেন। রোকেল মিয়া ভুক্তভোগীর স্বামীর দিক দিয়ে মামাতো ভাসুর এবং ববিতা আক্তার তার জাঁ।
অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, রোকেল মিয়া প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দিতেন। গত ১৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে পারিবারিক সামান্য বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিবাদীদ্বয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
এ সময় তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। শিরিন আক্তারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীদ্বয় প্রকাশ্যে হুমকি দেয়- সুযোগ পেলে তাকে ও তার সন্তানদের খুন করবে এবং বাড়িঘর দখল করবে। পরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুকেল মিয়া বলেন, শিরিন আমার ফুফাত ভাই লিমন মিয়ার বউ। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। আমার ভাই লিমন মিয়া সৌদি প্রবাসী হওয়ায় বাড়িতে শুধুই তার স্ত্রী ও বাচ্চারা থাকে। আমি তাকে কু-প্রস্তাব দেই ও মারধর করেছি কথাটি দুরভিসন্ধিমূলক এবং মিথ্যা। ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ববিতার সাথে তার বাকবিতন্ডা হয় এবং মৃদু হাতাহাতি হয়েছে কিন্ত আমি কোনভাবেই তার গায়ে হাত দেইনি এই অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।