দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সদ্য যোগদানকৃত এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিলপ্যাড জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিও ভুক্তির আবেদনের জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্রে অগ্রণী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর, প্যাড ও সিল জাল করে একটি ‘নন-ড্রয়াল সনদপত্র’ তৈরি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিষয়ের প্রভাষক মোনাহাম বেগম ২০২২ সালের ৬ জুলাই মারা যান। তার শূন্য পদে মাহফুজুর রহমান নামের একজন শিক্ষক চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি নিয়ম অনুযায়ী এমপিও সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
তবে সেই আবেদনের সঙ্গে জমাকৃত কাগজপত্রে অগ্রণী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার প্যাড, সিল এবং ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর ব্যবহার করে জাল সনদ তৈরি করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. কাজল মিয়া গত ৫ অক্টোবর কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এর পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ ৬ অক্টোবর ঐ প্রভাষক মাহফুজুর রহমানকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. কাজল মিয়া বলেন, আমি জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া তাদের দায়িত্ব।
অভিযুক্ত প্রভাষক মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমি আমাদের কলেজে প্রিন্সিপাল স্যার এবং ব্যাংকের ম্যানেজার সবার কাছেই ক্ষমা চেয়েছি। উনারা আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। তারা আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এজন্য আমি এটা করে ফেলেছিলাম আর কি। কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এম.এ জিন্নাহ বলেন, এটি একটি গুরুতর অনিয়ম।
শুরুতেই যদি একজন শিক্ষক এমন জালিয়াতির আশ্রয় নেন, তাহলে এ ঘটনার একটি দৃষ্টান্ত প্রতিকার হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, কলেজের পক্ষ থেকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি এবং মাউশি কর্তৃপক্ষকে ঐ জাল ফাইলটি বাতিল করার জন্য আবেদন করেছি।