দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

স্টাফ রিপোর্ট:

সিলেটে বিমান টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও প্রতারণা বন্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০২৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সিলেটে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি, বিশেষ করে বিমান টিকিটের গায়ে বিক্রয়মূল্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।

এর ফলে জেলা প্রশাসন সতর্কবার্তা দিয়েছে, নির্দেশনা না মানলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল ট্রাভেল এজেন্সিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিক্রিত বিমান টিকিটের গায়ে এজেন্সির নাম, লাইসেন্স নম্বর ও নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে। সঙ্গে, যাত্রীদেরও তাদের কেনা টিকিটে বিক্রয়মূল্য ও এজেন্সির নাম সঠিক আছে কিনা যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অননুমোদিত বা নিবন্ধনবিহীন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্য আদায় বা টিকিট জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের নিবন্ধন বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

চা-বাগানে প্রশাসনের অভিযান স্টাফ রিপোর্ট সিলেটের খাদিমনগর চা-বাগানের সবুজ টিলায় বেআইনিভাবে জমি দখল করে অবৈধ প্লটিং ও বিক্রি করার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খুশনুর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চা-বাগানের টিলায় অবৈধভাবে নির্মিত বেশ কয়েকটি টিনের ঘর ও স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বাগানের ব্যবস্থাপক ও তার সহযোগীরা সরকারি জমি দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন এবং জমি বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এক সময় নিরবিচ্ছিন্ন সবুজায়নভূমি ছিল এমন চা-বাগানের জমি এখন যেন অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় পরিণত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুশনুর রুবাইয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারি জমিতে অবৈধ বাড়িঘর নির্মাণ ও টিলা কাটা হচ্ছিল। ইতোমধ্যে কিছু জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় বাগানের ব্যবস্থাপককে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হলেও তিনি সহযোগিতা করেননি। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে এবং পুলিশের তদন্তে যেসব তথ্য উঠে আসবে, তার ভিত্তিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

রেল স্টেশনে ঝটিকা অভিযানে জেলা প্রশাসক স্টাফ রিপোর্ট সিলেটে রেলের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও জনঅন্দোলন চলমান। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালেই সিলেট রেল স্টেশন পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি নিয়ে কথা বলেন এবং টিকিট চেক লিস্ট পর্যালোচনা করেন। এ সময় রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও স্টেশনের ভিতরে অননুমোদিত গাড়ি পার্কিং বিষয়েও নজর দেন এবং অবৈধ পার্কিংকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলা প্রশাসক জানান, এই রেল স্টেশন থেকে খুবই কম টিকিট বিক্রি হয়, অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয় অনলাইনে ও অন্যান্য স্থান থেকে। তাই মূলত টিকিট কালোবাজারি কোথায় হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিট আসার মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এখানে নিশ্চয়ই কারসাজি রয়েছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি অনলাইন টিকিট বিক্রির বিকল্প ব্যবস্থাও বিবেচনা করতে হবে।” পরিদর্শনের সময় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সিলেট ও শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জড়িত, কারণ এই দুই স্টেশনে সবচেয়ে বেশি কালোবাজারি হয়।

এই অভিযোগ তদন্তের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। ডিসি মো. সারওয়ার আরও বলেন, ট্রেনে একজনের টিকিট দিয়ে অন্যজন ভ্রমণ বন্ধ করতে পারলে কালোবাজারি অনেক কমে যাবে। বিশ্বের কোনো দেশেই একজনের টিকিটে অন্যজন ভ্রমণ করতে পারে না। এনআইডি ও নিজ নামে টিকিট ছাড়া কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করব। ব্ল্যাকাররা টিকিট বিক্রি করতে না পারলে কালোবাজারি বন্ধ হবে। উল্লেখ্য, সিলেটের যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকিট পাওয়া দুষ্কর এবং অনলাইনেও টিকিট মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, সব টিকিট কালোবাজারিদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে।

এই নিয়ে সিলেটে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ, ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রেল লাইন সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সিলেটের সড়কে একমাসে ৩২ জনের প্রাণহানি স্টাফ রিপোর্ট সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের সড়কে ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৪৭ জন আহত হয়েছে। এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। দেশব্যাপী এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৫০৪ টি ঘটনা ঘটে, যেখানে ৫০২ জন নিহত এবং ৯৬৪ জন আহত হয়। রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬৭ এবং মোট নিহত ৫৬৫ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পরিমাণ বেশি, ১৯১ টি দুর্ঘটনায় ১৯৯ জন নিহত ও ১৮৮ জন আহত হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা (১২৬ টি) ও নিহত (১২২ জন) ঘটেছে, যেখানে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম (২২ টি দুর্ঘটনা ও ২৭ জন নিহত)। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, শিক্ষার্থী, পথচারী, নারী, শিশু, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। দুর্ঘটনায় প্রায় ৭৭২টি যানবাহন জড়িত ছিল, যার মধ্যে মোটরসাইকেলের ভাগ সবচেয়ে বেশি (২৯.০১%)। দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো গাড়ি চাপা দেওয়া (৪৮.৮০%), মুখোমুখি সংঘর্ষ (২৮.৫৭%) এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া (১৭.৮৫%)।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version