মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ২নং বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কমিটি বাতিল ও আহ্বায়ক সুজন মিয়ার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুর ৩টায় গড়াকাটা কুতুব বাজারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী অংশ নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, নতুন কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী ঘরানার কয়েকজনকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আহ্বায়ক সুজন মিয়া অর্থের বিনিময়ে চিহ্নিত আওয়ামী ধূসর সায়েমকে সভাপতি ও হোসেন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেছেন। এতে তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন। আমরা অবিলম্বে এই অবৈধ কমিটি বাতিল ও আহ্বায়ককে বহিষ্কারের দাবি জানাই।” প্রবীণ নেতা হাসেন মিয়া বলেন, “জিয়ার আমল থেকে বিএনপির সঙ্গে আছি, অথচ আমাকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি।” সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “২৭ তারিখে আমাকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হলেও পরে বাদ দিয়ে আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।”
সভাপতি যাকে করা হয়েছে সায়েম ও তার বাবা বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন মিয়া আওয়ামিলীগ আমলে নৌকা মার্কার এজেন্ট সহ সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জরিত ছিল। অথচ এদের কে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির ঘাটি ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।৩ নং ওয়ার্ড বিএনপিকে আওয়ামীলীগের হাত থেকে বাঁচাতে অনতিবিলম্বে এই কমিটি বাতিল সহ আওয়ামী এজেন্ট আহ্বায়ক সুজন মিয়াকে বহিষ্কার করতে হবে। সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসলাম উদ্দিন বলেন,৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সর্বসম্মতিক্রমে আমি সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলাম।
“সভাপতি পদের জন্য আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় আমাকে বাদ দেওয়া হয়।” আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।উপজেলা ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের দাবি ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তৃনমূলের প্রত্যাশা অনুযায়ী কমিটি পূর্ণগঠন করুন। বক্তারা আরও বলেন আমরা এর আগে মধ্যনগরে বিক্ষোভ মিছিল সহ উপজেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে তৃণমূলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন—সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নাসির মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আজাহার মিয়া, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক আকবর আলী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সুজলা আক্তার,ক্ষুদ্র ঋন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হানিফ মিয়া,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক,খোকন মিয়া,সদস্য আব্দুল গনি,আমির হোসেন সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ২ শতাধিক স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।