নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার বারহাট্টায় ধর্ষণের ফলে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক কিশোরীকে (১৪)। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় সহায়তাকারী হিসেবে পারুল আক্তার( ৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পালিয়ে গেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গতকাল রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত কিবরিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে। আর ভুক্তভোগী কিশোরী তার প্রতিবেশী।
গ্রেপ্তার হওয়া পারুল আক্তার একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যান প্রতিবেশী পারুল আক্তার। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল কিবরিয়া। ঘরের বাইরে থেকে সিটকিরি লাগিয়ে অন্যত্র চলে যান পারুল। এদিকে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন কিবরিয়া। পরে তিনি তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায়নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে।
কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই পারুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যায় কিবরিয়া।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, আমরা গরীব মানুষ, ত্রিপলের ঘরে বসবাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালায়। কিবরিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ে কিছু খায় না, বমি বমি ভাব। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিষয়টি স্বীকার করেছে। এখন আলট্রাসনোগ্রাম করে জেনেছি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।
কিশোরীর বাবা জানান, কিবরিয়ারা প্রভাবশালী, আমি দিন এনে দিন খাই। তাদের সাথে আমি হয়তো পারব না। আমি ন্যায় বিচার চাই।
বারহাট্টা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পারুল আক্তার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ (বুধবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ওই কিশোরীকেও জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। মূল আসামি কিবরিয়া পালিয়ে গেছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।