ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে প্রথম পর্বের প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পাঁচ ছাত্র হল ও তিন ছাত্রী হল অংশগ্রহণ করবে বলে জানা যায়।
এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জাতীয় টিভি বিতার্কিক খালিদ হাসান, ইবি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও টিভি বিতার্কিক সাইফুর রহমান। এছাড়াও স্পিকার দায়িত্ব পালন করে ইবি ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য সচিব, দিদারুল ইসলাম রাসেল।
প্রথম পর্বের এই অনুষ্ঠানে শাহ আজিজুর রহমান হল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্কের মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে সাদ্দাম হোসেন হল ও শহীদ আনাস হল ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। যার চূড়ান্ত পর্ব আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, প্রথম পর্বের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় “একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত সম্ভব না” এই বিষয় নিয়ে শাহ আজিজুর রহমান হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় এবং “জাতীয় নির্বাচনে PR পদ্ধতি ই পারে ফ্যাসিজম শাসন ব্যবস্থাকে মোকাবেলা করতে” এই বিষয় নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হল ও শহীদ আনাস হলের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
স্পিকার দিদারুল ইসলাম রাসেল বলেন “বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি হলো শিষ্টাচার, যুক্তি ও জ্ঞানচর্চার এক অনন্য ক্ষেত্র। এখানে জয় বা পরাজয় মুখ্য নয়, বরং যুক্তি দিয়ে সত্য অনুসন্ধান, ভিন্নমতকে সম্মান করা এবং মুক্তচিন্তার চর্চাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তরুণদের মাঝে এই মানসিকতা গড়ে তুলতে বিতর্কের ভূমিকা অপরিসীম।”
বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এবং শাখা শিবিরের আন্তর্জাতিক ও বিতর্ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলি বলেন, “স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বিতর্কের মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করার জন্য আল্লাহর রসুলকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই বিতর্কের মাধ্যমে সত্যকে উপস্থাপন করা যায় ভিন্নভাবে। মূলত বিতর্ক নতুনত্বের পথকে উন্মুক্ত করে দেয়। আর ইসলামী ছাত্রশিবির চায় মানুষের কাছে সত্য ও সুন্দর টা পৌঁছে যাক।এরই ধারাবাহিকতা আমাদের এই আন্তঃ হল সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা আশাকরি এই বিতর্কের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সত্য টা বিকশিত হবে।”