ববি প্রতিনিধি:
অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এই মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।মানববন্ধনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস পদক্ষিণ করে পরবর্তীতে আবার মেইট গেইটে ফিরে আসে এবং সড়ক অবরোধ করে এবং আধা ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
শিক্ষার্থীরা জানান, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, আবাসন সুবিধা, আধুনিক শিক্ষা-পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেছেন। অবরোধকালীন মহাসড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদরা “ভিসি গেলো ভিসি এলো,উন্নয়নের কি হলো” “এই মুহুর্তে দরকার, ববি সংস্কার” “ওয়ান টু থ্রী ফোর,ইনজাস্টিস নো মোর” “ইউজিসি তুই জবাব দে,উন্নয়নে বাধা কোথায়, ইন্টারিম তুই জবাব দে,উন্নয়নে বাধা কোথায়” প্রভৃতি শ্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবার তারা তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে, ১. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। ২. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি।
৩. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো এখনো পর্যাপ্ত নয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, অবকাঠামোগত সংকট দূর না হলে শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা-পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, “প্রাপ্য অধিকার থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় বঞ্চিত।
এই আন্দোলন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডির মধ্যে এতদিন রেখেছিলাম, কিন্তু বাংলাদেশের কালচার এমন যেখানে নমনীয়ভাবে আন্দোলন করলে কোনো কিছু আদায় করা সম্ভব হয় না, তাই এ আন্দোলন আমরা রাজপথে নিয়ে এসেছি। সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার ইচ্ছা আমাদের মধ্যে নেই। আমরা রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে তারা দ্রুত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।” লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা দেখেছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য বাজেট পেয়েছে। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদ আমলের মত এখনো অবহেলিত।
তাই আমরা রাজপথ বেছে নিয়েছি। রাজপথে দাবি আদায় মাধ্যমে আমর ঘরে ফিরে যাবো ইনশাআল্লাহ।” অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে কর্মসূচী ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন,আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউজিসি অথবা শিক্ষামন্ত্রানালয় থেকে যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ না করা হয়,আমাদের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেডসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।