নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ- সহিলদেও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলার সহিলদেও গ্রামে মদন-মোহনগঞ্জ পাকা রাস্তার ওপর এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রভাব খাটিয়ে করে পরিষদ ভবনটি তার নিজ গ্রাম জয়পুর গ্রামে নিয়ে যেতে চাইছে। জয়পুর গ্রামটি ইউনিয়নের শেষপ্রান্তে হওয়ায় সেখানে যেতে মানুষের অসুবিধা হবে। এতে করে ইউনিয়নের অনেক গ্রামের মানুষ সেবা বঞ্চিত হবে। তারা স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, সহিলদেও ইউনিয়নের জন্য আগেই জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে নিজের গ্রামের জন্য পরিষদ ভবন নেওয়া ঠিক হবে না। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
দাবি না মানলে আরও বৃহৎ কর্মসূচির হুমকি দেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, এই ইউনিয়নে এ পর্যম্ত যত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারা তাদের নিজেদের পছন্দ মতো জায়গায় পরিষদের কাজ করেছেন। গত আওয়ামী সরকারের সময় মধ্যবর্তী স্থান হিসেবে সহিলদেও গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে ৩০ শতাংশ জমি পরিষদের ভবনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। এটি পরিষদের নামে রেজুলেশন করে পাকাপাকি করা হয়। কিন্তু সরকার পতনের পর জয়পুর গ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাফি প্রশাসনকে চাপ দিয়ে তার নিজের গ্রামে ওই ভবনটি স্থাপন করতে চাইছে। এরই প্রতিবাদে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে সহিলদেও এলাকায় ৩০ শতাংশ জমিতে ইউপি ভবনটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়গাটি পরিদর্শন করে অধিগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে। পরে সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রভাব খাটিয়ে জেলা প্রশাসককে দিয়ে তার নিজ গ্রাম জয়পুরে ইউপি ভবন নির্মাণের জন্য সুপারিশ পাঠায় মন্ত্রণালয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয় এলাকার লোকজন। তারই জেরে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এ কাদের বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সহিলদেও, জয়পুর ও শ্রীরামপুর সম্ভাব্য এ তিনটি স্থানের একটিতে ভবন নির্মাণের জনসুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে সরকার পতনের পর এ বিষয়ে কি হয়েছে জানা নেই। তবে ভবনটি কোথায় নির্মাণ হবে সেটি ইউনিয়নের সবাইকে মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।