নিজস্ব প্রতিবেদক: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া কেন্দুয়া উপজেলার তিন সাহসী সন্তান- শহিদ তোফাজ্জল হোসেন, শহিদ জিয়াতুল ইসলাম খোকন ও শহিদ আলী হোসেন এদের নিজ নিজ কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একে একে শহিদদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কবর জিয়ারত এবং আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শহিদ তোফাজ্জল হোসেনের কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা ইয়াসমিন, কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মাওলা, কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শহিদ জিন্নাতুল ইসলাম খোকনের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিনিধি দল। শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হয়। শহিদের সমাধি ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর আবেগ দেখা যায়। শহিদ আলী হোসেনের কবরেও একইভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায় ,শহিদ তোফাজ্জল হোসেন (২২) পেশায় ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি, শহিদ হন ৪ আগস্ট ২০২৪, গাজীপুরের মাস্টারবাড়ী এলাকায়। শহিদ জিয়াতুল ইসলাম খোকন (২৩) ছিলেন একজন শ্রমিক, শহিদ হন ৫ আগস্ট ২০২৪, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায়। শহিদ আলী হোসেন (৪৪) ছিলেন ব্যবসায়ী, শহিদ হন ১৮ জুলাই ২০২৪, ঢাকার উত্তরা এলাকায় রাজনৈতিক সহিংসতায়।
এই তিনজনের নাম সরকার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত গেজেটে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ” হিসেবে ঘোষণা করে।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সময় বক্তারা বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ এই দেশের গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শহিদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানোর অর্থ হলো, আমরা বৈষম্য ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অটল থাকার অঙ্গীকার করছি।
তাঁদের কবরের পাশে মাথা নত নয়, উঁচু করে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারই প্রতিধ্বনিত হয় এ শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে।