নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় চোখে দেখতে না পারার কষ্ট দূর হচ্ছে সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের। যারা প্রায় অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তার সহযোগিতায় এবার তাদের চোখে আলো ফিরছে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ-অসহায় মানুষ, যারা আর্থিক অভাব-অনটনে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেননি তাদেরকে নিজ অর্থায়নে চক্ষু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি’ এই ভাবনাকে উপজীব্য করে কায়সার কামাল সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করছেন। তার মানবিক উদ্যোগে হতদরিদ্র মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হচ্ছে।
চক্ষু চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে চিকিৎসা সেবা পাবার পাশাপাশি তাদের খাওয়া-দাওয়া, ঔষধ, যাতায়াতসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য যাবতীয় খরচও বহন করছেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
এরআগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে রোগীদের চোখের অপারেশন করা হয়।
রবিবার (৩ আগস্ট) এবার ৪র্থ ধাপে ৪৬ জন চোখের রোগীকে ময়মনসিংহের ড. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২৬ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ রয়েছেন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের দুর্গাপুর থেকে বাসযোগে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
দুর্গাপুরের কাপাসাটিয়া গ্রাম থেকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য আসা রোগী রহিমা খাতুন বলেন, টেহা-পয়সা নাই, চোহের চিকিৎসা করাইতে পারতাসিলাম না। কায়সার কামাল আমরারে চোহের ছানি অপারেশন করার ব্যবস্থা করছেন। আমরার কোন টেহা পয়সা লাগতাছে না।
চোখের চিকিৎসা নিতে এসেছেন জুলেখা খাতুন। তিনি কয়েক বছর যাবত চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বলেন, চোখের চিকিৎসা করাতে পয়সা জোগাড় করতে পারছিলাম না। কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। আজ আমরা ময়মনসিংহ হাসপাতালে যাচ্ছি।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহে যাবার অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, বহুদিন ধরে চোখের অসুখে ভুগছি। পয়সার অভাবে কোন চিকিৎসা করাতে পারিনি। তবে এবার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা হলো। কায়সার কামাল সাহেব আমার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।
বিএনপির মানবিক এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।