পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” এর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স কক্ষে এ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও পবিপ্রবি ফিল্ম সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারানা রহমান। ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. আমিনুল ইসলাম টিটো ও ডেপুটি ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান সবুজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি’র ছাএদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলরানা জনি, পবিপ্রবি’র ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান সরকার হীরা প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কেন্দ্রিক একটি ঘণ্টাব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি নাইমুর রহমান বেনজিন ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান সরকার হীরা তথ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত ফিল্ম সোসাইটির নেতৃবৃন্দ প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভিসি প্রফেসর ড. এস.এম হেমায়েত জাহান বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ঋন শোধ হবার নয়। তারা জীবন দিয়ে আরেকটি স্বাধীনতার জন্ম দিল।তিনি পবিপ্রবি’র নবনির্বাচিত ফিল্ম সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান।তিনি ফিল্ম আর্কাইভের মাধ্যমে পবিপ্রবিতে আরো সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থান হলো একটি ফ্যাসিবাদী রাস্ট্রব্যবস্হার বিপরীতে একটি জাতির সম্মিলিত স্লোগান-যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসে হারানো স্বাধীনতা। পুনরুজ্জীবন লাভ করে গণতন্ত্র। দেশ থেকে দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে।”