ইবি প্রতিনিধি:
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ‘শহীদ আবু সাঈদ আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোর ও ১১৬ নং কক্ষে দিনব্যাপী আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়।জানা যায়, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ টি বিভাগের বিতার্কিকেরা অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ২ আগস্ট প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ।
এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকমন্ডলী হিসেবে ছিলেন জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা বিটিভি এর নির্দেশক নাজমুল হুদা আজাদ, সাবেক টিভি বিতার্কিক খালিদ হাসান, রাবি’র শহীদ শামসুজ্জোহা হল বিতর্ক সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিক আজমিম মাহমুদ, আইইউডিএস এর সাবেক আহ্বায়ক নোমান ইবনে বাসার, এনডিএফবিডি এর কো-চেয়ারম্যান ও নৈয়ায়িক খুবি’র সাবেক সভাপতি বি এম আফসান আক্তার এ্যানি।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বৈবিছাআ ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, আইইউডিএস এর সদস্য-সচিব দিদারুল ইসলাম, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, গোলাম রাব্বানী ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক সহ-সমন্বয়ক পংকজ রায় প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে এতে বিজয়ী বিভাগগুলো হলো- অর্থনীতি, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’, কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম, উন্নয়ন অধ্যয়ন এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। আগামীকাল কোয়ার্টার ও সেমি-ফাইনাল এবং আগামী ২ আগস্ট ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, শহীদ আবু সাঈদের নামের আমাদের এ ডিবেট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মৃত্যুতে জুলাইয়ে নতুন মোড় নিয়েছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার আমরা শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এতে মোট ২২ বিভাগ অংশগ্রহণ করছে।নকআউট নিয়মে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টিশীলতার জায়গা, জ্ঞান বিজ্ঞান বিকাশের জায়গা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা আরও বেশি আয়োজন করা দরকার। অনেকদিন পর হলেও জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে আমরা এমন একটা আয়োজন শুরু করতে পেরেছি।ইনশাআল্লাহ সামনে এমন বিতর্ক আরও হবে।এই বিতর্কের মাধ্যমে যার যার মতামত, যুক্তি তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে একটা সহমর্মিতার সুযোগ তৈরি হবে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি হবে এবং সবাই মিলে একটা শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে পারবো এটাই প্রত্যাশা।