ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টকে ঘিরে ফের ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।সোমবার(২১জুলাই)বিকাল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিসমূহ না মানলে বিশ্ববিদ্যালয়কে কমপ্লিট শাটডাউন হুশিয়ারী দেন তারা।
ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের মতামতে বলা হয় , ময়নাতদন্তের আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়েছিল। ময়নাতদন্ত হয়েছিল ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে নয়টায়। এছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ভিসেরা রিপোর্ট এলে জানা যাবে।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারও একই কথা জানান।
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গুলো একাত্মতা পোষণ করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হল-
সাজিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ট্রাইবুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচার, সাজিদ হত্যার জন্য ক্যাম্পাস বাদি হয়ে মামলা, সাজিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, পিবিআই’র মাধ্যমে মামালার তদন্তের ভার দিতে হবে, অধিকতর তদন্ত জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা, সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রশাসনের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্পষ্ট বিবৃতি ও ভিসেরা রিপোর্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রদান।
পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।এসময় তারা আগমীকাল বেলা ১১ টায় আবার আন্দোলনের ডাক দেন এবং সকল শিক্ষার্থীকে ক্লাস -পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানান।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা তদন্তের অগ্রগতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলে এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে বসার জন্য বললেও তারা সাড়া দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৬ টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ইবি থানা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং রুমে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়। এঘটনায় হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।