দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের উপস্থিতিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের ২০ হাজারের বেশি চারা ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুয়ারপুর গ্রামে হান্নান মিয়ার নার্সারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন নার্সারিতে পরিবেশবিধ্বংসী আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি চলছিল। সম্প্রতি এসব গাছ রোপণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় চারা ধ্বংস করে নার্সারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইজুল ওয়াসীমা নাহাত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপপরিচালক মোখশেদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

চারা ধ্বংস ও আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে পরিবেশবান্ধব গাছ রোপণে উৎসাহ দিতে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ফলদ, বনজ গাছের চারা ও সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও ফাইজুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কঠোর হতে হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে নার্সারি মালিকদের পুনর্বাসনও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছ মাটির পানি শোষণ করে জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতেই সরকার দেশজুড়ে এসব গাছের রোপণে নিরুৎসাহিত করছে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version