নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের দুজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও পরিষদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সরগরম স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি মহল।
অভিযুক্তরা হলেন- ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. স্বপন মিয়া এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসা. মঞ্জুরা আক্তার। ইউপি প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কর্তৃক ইউএনও বরাবর দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দু’টি মসজিদের উন্নয়ন বরাদ্দের ১৯ হাজার ও ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ইয়াহিয়া (রহ.) মাজারে টয়লেট নির্মাণে নিম্নমানের কাজ ও অর্থ আত্মসাৎ, গড়াডোবা হাই স্কুল মাঠে কাদামাটি ফেলে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং পরিষদের তথ্য ফাঁস ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো।
মঞ্জুরা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজ বাড়ির পুরনো টিউবওয়েল দেখিয়ে নলকূপ প্রকল্পের টাকা ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ইউনিয়ন উন্নয়নের দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ ৯০ হাজার ৪৮৬ টাকা আত্মসাৎ, পরিষদের তথ্য সাংবাদিকদের সরবরাহ, সভায় অনুপস্থিতি ও গোপন সখ্যতা।
ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্য অভিযুক্ত ওই দুজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনাস্থা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়ার ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, পরিষদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে এ ধরনের অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে একসাথে দাঁড়াতে হবে।
প্রশাসনের সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার আইনের ৩৪(৪) উপধারা ও ১০১ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।