রংপুর প্রতিনিধিঃ
“আজকের গাছ আগামীর নিঃশ্বাস”—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরের তারাগঞ্জে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের হাত খোপার বিলের দুই পারে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ লাগানো হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এ বৃক্ষরোপন অভিযান শুরু হয়। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা নিজ হাতে নারিকেল চারা গাছ রোপনের মধ্যদিয়ে এ শুরু হয় গণবৃক্ষরোপন অভিযান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায়, বন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান খাঁন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জুয়েলে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এম,এ ফারুক হোসেন সহ স্থানীয়জন।
বন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান খাঁন বলেন, এটি উপজেলা প্রশাসন তথা সরকারে খুবই ভালো উদ্যোগ। গাছ লাগানোর ফলে এই এলাকার মানুষ কৃষি কাজের সময় পর্যাপ্ত ছায়া পাবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জুয়েলে বলেন, এই বিলের দুই ধার বৃষ্টিপাত জণিত ক্ষয়ক্ষতি নিয়মিত সংষ্কারের আওতায় থাকবে। আমি উর্ধ্বতন মহলে বলবো ভবিষ্যৎ-এই বিল বিনোদন পার্ক করতে হলে বিলের একসেস রোডটা জরুরী ভাবে দরকার, যাতে সাধারণ মানুষের আসা যাওয়া সহজ হবে। অফিসার ইনচার্জ এম,এ ফারুক হোসেন বলেন, আমি সাদু বাদ জানাই উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে।
সেই সাথে আপনাদের মাধ্যমে এই এলাকাবাসীকে জানাতে চাই, শুধু রোপন করলেই হবে না- গাছগুলো যেন সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সেই সহযোগীতা করবেন। আমি যেহেতু এই ধানার অফিসার ইনচার্জ স্থানীয় চৌকিদার দ্বারা গাছ রক্ষনাবেক্ষনে আমি তদারকি করবো। কৃষি কর্মকর্তা ধীবা রানী রায় বলেন, উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনে আমরা সকলে মিলে নানা রকম ফলজ গাছ রোপন করছি।
এর মধ্যে আম, কাঠাল, নারিকেল, মাল্টা, কমলা ও তাল গাছের চারা আজ লাগানো হচ্ছে। এই বিল ধারে লাগানো গাছগুলো সঠিক পরিচর্চায় বেড়ে উঠলে এই এলাকার মানুষের বিভিন্ন ফল, পুষ্টি ও কৃষি চাহিদা নিশ্চিত করতে পারবো। এছাড়া পুরো বিলের দুই ধার যদি গাছে ভরে যায়, দেখার মতো একটা জায়গা হবে। গাছ লাগানো শুরু হয়েছে চলতে থাকবে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, এই হাত খোপার বিলে ধারে গাছ লাগানোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা, শুদ্ধনিঃশ্বাস, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ্য পরিবেশ প্রদান করা। ভবিষ্যৎ-এ এই বিল এলাকা যেন বিনোদন মাধ্যম ও অবকাশ যাপনে সহায়ক হয়।
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরই বৃক্ষরেপান সহ জনবান্ধব ভালো কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য যে, উপজেলার আনসার সদস্য, চৌকিদার ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় বৃক্ষরোপন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।