ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশনে স্টাম্প চুক্তির মাধ্যামে জমি কেনার বায়নার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে ফের ৪ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগ উঠেছে আলমগীর হোসেন নামের এক প্রভাশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার দাবীকৃত ৪ লাখ টাকা না পেয়ে বসত ঘরে আগুন ও ঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।এতেই থেমে যাননি ওই চক্র। তাদের দাবীকৃত টাকা না পেলে হত্যার হুমকি ও বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি ধামকি অব্যহত রয়েছে।
ওই চক্রেরের ভয়ে চার দিন নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী মাহাফুজুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল শনিবার সকালে এমন অভিযোগ করেন প্রবাস ফেরত মাহাফুজুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা।গত বুধবার বিকালে ও সন্ধ্যায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দু’দফায় এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী প্রবাসী মাহাফুজুর রহমান জানান, চরফ্যাশন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাদ্রাজ মৌজায় এসএ ৫৫ ও ডিপি ১৬৪০ ও ৫০৬ নং খতিয়ান এবং এসএ ৭৫,৭৬, ৬৭৬ / ৭৬, দিয়ারা দাগ ১৭০ ,১৮৪ দাগে তিনি তিনি আড়াই শাতাংশ ও তার অপর ওয়ারিশরা তার বাবার ওয়ারিশি আড়াই শাতাংশ জমির মালিক বিদ্যমান থেকে ওই জমি প্রতিবেশী অলমগীর হোসেন কাছে ৬ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারন করে ২০২৩ সনের আগষ্ট মাসে স্টাম্প চুক্তির মধ্যেমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বায়না গ্রহন করেন।
বায়না চুক্তির মধ্যেমে খরিদা আলমগীর হোসেন টাকার সংকট দেখিয়ে তিন বছর জমি দলিল নিতে সময় ক্ষেপন করেন। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি তার বায়না চুক্তি করা জমি খরিদ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। এবং তার বায়নার টাকা ফেরত চান। এনিয়ে শুরু হয় বিপত্তি।
পরে স্থানীয় এক বিএনপির নেতার সমোঝতায় ২৫ সনের ২৮ জানুয়ারী আলমগীর হোসেনকে ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এবং দি¦তীয় দফায় তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়।কিন্তু আলমগীর হোসেন আমার কছে ২০ হাজার টাকা পাওনা থাকলেও তিনি আমার কাছে আরো ৪ লক্ষ টাকা দাবী করেন।
২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ লাখ টাকাদাবী করা নিয়ে বিপাকে পড়ে যান তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা। আলমগীর হোসেনকে অতিরিক্ত ৪ লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বেপোরয়া হয়ে উঠেন তিনি। প্রতিনিয়ত বাড়িতে এসে টাকার জন্য চাপ দেন। এসব ঘটনা সমোঝতাকারী বিএনপির নেতাকে জানালেও থেমে যাননি আলমগীর হোসেন। গত বুধবার বিকালে তিনি ১০/১২ জনের একটি চক্র মিলে তার বাড়িতে এসে ফের টাকার জন্য চাপ দেন।
এবং জোরপূর্বক তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে তার ডাক চিৎকারে তার স্বজন ও স্ত্রী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান। এখানে শেষ নয় ওই চক্রের মব সৃষ্টির তা-ব। ওইদিন সন্ধ্যার পর ফের আলমগীর হোসেন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রায় ৫০/৬০ জন বহিরাগত সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে তার বাড়িতে যান। কিন্তু তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার স্ত্রী শিশু সন্তানদের নিয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন। তাকে বাড়িতে না পেয়ে ওই চক্র তার ঘরের ভিতরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রতিবেশীদের সহযোগীতার আগুন নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হলেও থেমে থাকেননি আলমগীরসহ তার দলবলরা। রাতে ফের তারা তার বাড়িতে হানা দিয়ে তার বোনের ঘরে দিয়ে তল্লাশী চালান।
সেখানে তাকে না পেয়ে ওই ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে আমাকে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলেন যান। তিনি আরোও অভিযোগ করেন, টাকার দাবীতে আলমগীরসহ তাদের দলবলে হুমকিতে গত চার দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর পরই থানায় অভিযোগ দিতে গেলে চরফ্যাসন থানা পুলিশ অভিযোগ গ্রহনের নামে নানান তালবাহানা শুরু করেন।
পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আরো বিপাকে পড়েছেন তিনি। অভিযুক্ত আলমগীর মুঠোফোনে জানান, মাহফুজের কাছ থেকে ২০২৩ সালে জমি খরিদ করার একটি বায়না চুক্তির ষ্ট্যাম্প করেছিলাম। তখন তাকে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পরবর্তীতে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছি। মোট ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছি। সে আমাকে জমি দলিল রেজিস্ট্রি ও দখল বুঝিয়ে দেয়ার নামে তালবাহানা করেছে। এজন্যই আমি বায়নার টাকা ফেরত চাচ্ছি।
ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সঠিক নয়। চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। তবে জেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে আসতে বলা হয়েছে। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।