ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাসনে লেতরা লঞ্চঘাটে ইজারাদারের কাছ থেকে চাঁদাদাবীর অভিযোগ উঠেছে শশীভূষণ থানা যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ঘাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ওই যুবদল নেতা। এঘটনায় মঙ্গলবার ইজারাদার মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীনসহ ৭ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় ,২০২৫ সনের সরকারী বিধি মোতাবেক চলতি সনে লেতরা লঞ্চঘাটটি স্থানীয় বিএনপির নেতা হেলাল উদ্দিন টিপুর নামে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় ইজারা হয়। তিনি তার কাছ থেকে ওই লঞ্চঘাটটি সাব ইজারা হিসেবে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। মঙ্গলবার তিনি তার ইজারার সরকারী শর্তমতে তিনি ঘাটের ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলে যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীনসহ ১০/ ১২ জনের একটি চক্র ঘাটে গিয়ে তার কার্যক্রমে বাধা দেন। এবং ইজারা কালেকশন করতে হলে তারা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন।
তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ওই চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা চালিয়ে লঞ্চঘাটের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি ওই যুবদল নেতাসহ তার দলবলরা। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলে মারধরের হুমকি দেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্ধরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরই বেপরোয়া হয়ে উঠে ওই যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীন।
নিজের বলয়ে একটি অপরাধের সামরাজ্য গড়ে তুলে চাঁদাবাজী, অন্যের জমি দখলসহ নানা অপকর্ম জড়িয়ে পড়ে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এলাকার সাধারন মানুষ তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর ও একাধিক হামলার শিকার হয়েছে শশীভূষণ এলাকার মানুষ।
ওই যুবদল নেতা শাহীন প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস পাননি কেউ। তার তান্ডবে দিশেহারা শশীভূষণ থানার এলাকার মানুষ। অভিযুক্ত যুবদল নেতা কামরুজ্জামান শাহীন জানান, আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এধরনের কোন ঘটনা আমার জানা নাই। এবং এসব ঘটনার সাথে আমি জড়ির নই। শশীভূষণ থানার মো. তারিক হাসান রাসেল জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।