ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক আব্দুস ছালাম খানের আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে (ইবি) আইন বিভাগ।বুধবার (২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ ভবনের ২৩৭ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক আঃ ছালাম খান। এসময় আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল করিম অর্নব ও খানম নূহা বিনতে করিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন ও স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম মহাপরিচালকের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত। তিনি খুব নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি যেভাবে সততার সাথে জজের দায়িত্ব পালন করেছেন তেমনি পরবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।’
মহা-পরিচালক আ: ছালাম খান বলেন,‘আমি কখনো কারো সাথে আপোষ করি নাই। সেই সময়ে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে এখানে আসছি। আমরা চিন্তা করছি কিভাবে ইসলামের প্রচার প্রসার করা যায়। প্রথম ফাউন্ডেশন কর্ণার হবে ইবিতে। ইসলামের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলাররা আমাদের বিভিন্ন সময়ে সহযোগী করেন। আমার দাবি ভবিষ্যতে তারা আমাদের সহযোগীতা করবেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সবসময় পড়াশোনা করবেন। ভাইবায় যেন প্রশ্নের সুন্দর উত্তর দিতে পারেন। এলামনাইদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একটা ট্রেইনিং করানো দরকার। বিভাগে মুট কোর্ট করা প্রয়োজন। এতে তারা পূর্ব থেকে শিখতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের সিনিয়র ভাই মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বড়দের দেখে বড়ো হই। ছালাম খান তোমাদের জন্য অনুপ্রেরণার।
উপাচার্য আরও বলেন, গত শাসনামলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাইবায় অপমান করা হতো। টুপি থাকলে বাদ হতো।এখন অবশ্যই পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তনের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পরিবর্তন না হলে আমরা এখানে আসতে পারতাম না। এই বিপ্লব আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই তোমাদের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কোনো বিভাগ এক্সিলেন্স তৈরি করতে কোনো প্রোগ্রাম করলে আমি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।’
এসময় সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে মহা-পরিচালককে ও অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষার্থী।