মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সারা দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযান ও ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশন চললেও, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের পলাতক এমপি রঞ্জিত সরকারের আস্থাবাজন আতিকুর রহমান আতিক অদৃশ্য এক শক্তির ছায়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিগত সময়ে তিনি তার দলীয় পরিচয় ও পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ও সুবিধা আদায় করেছেন। এমনকি নির্বাচনের সময় তার বাড়ি থেকেই অবৈধভাবে জাল ভোট পরিচালনা করা হতো বলে দাবি করেন একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি। প্রতিবাদ করলে দেওয়া হতো মিথ্যা মামলা ও হামলার হুমকি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমি জাল ভোটের প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমার উপর ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি, তারা দরজা ভেঙে আমার উপর হামলা চালায়।
স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা জানান, “আমরা বিনা অপরাধে এলাকা ছেড়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম, অথচ আতিক এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—অদৃশ্য শক্তির আশ্রয়ে।” স্থানীয় বিএনপি নেতা এ,এম স্বপন জাহান বলেন, “বিগত সময়ে এই ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতারা একাধিকবার আমার উপর হামলা ও গৃহবন্দী করেছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জাল ভোট দিয়েছে।ফ্যাসিস্ট আমলে প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজ সহ জোরপূর্বক ভাবে ভোটারদের জিম্মি করে নিজেরাই নৌকা মার্কায় সীল দিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে আনন্দ উল্লাস করতো।নির্বাচনী পোস্টার ও কেন্দ্রে অগ্নিনির্বাপণ করে আমাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়ে এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করা হতো।
প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনতিবিলম্বে এই সমস্ত ফ্যাসিস্টদের আইনের আওতায় না নেওয়া হলে যে কোন সময় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। আমরা বারবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যাই নি।
আমরা শুনতে পাচ্ছি এও যে অবৈধ কালো টাকার জোরে নাকি পুলিশ ও স্থানীয় কিছু কতিপয় সুবিধাবাদী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এমন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান আতিক উল্টো প্রতিবেদককে হুমকিস্বরূপ তার নামে নিউজ করার কথা বলে ফোন কেটে দেয়। মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)র সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।