নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণি পড়ূয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চৌদ্দ বছর বয়সি ওই ছাত্রী উপজেলার একটি এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবককে প্রধান আসামি ও আরো সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন।
অভিযুক্ত যুবক জয় রহমান (২২) খালিয়াজুরী উপজেলার পাঁচহাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আশরাফুজ্জামানের ছেলে।
এছাড়া এ মামলায় অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- মৃত আলী মোহাম্মদের ছেলে মো. আপনুজ্জামান ওরফে আপন (৩০), মৃত আশরাফুজ্জামানের দুই ছেলে বিজয় রহমান (১৯) ও মাসুম মিয়া (২৪), কামরুক জামানের দুই ছেলে মো. সাব্বির (২৫) ও মানিক মিয়া (২০), কামাল মিয়ার ছেলে ফয়সাল (২০) এবং মৃত লুসা মিয়া ওরফে ইসমাইলের ছেলে ইদ্রিছ মিয়া (৫৫)। তারা সকলের খালিয়াজুরীর পাঁচহাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (২১ মে) দুপুরের দিকে মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিদেরকে গ্রেফতারে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগে উল্লেখ, অভিযুক্ত যুবক জয় রহমান বেশ কিছুদিন যাবত স্কুলে আসা যওয়ার পথে কিশোরীকে প্রেম নিবেদন করে আসতেছিল। ভুক্তভোগী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত যুবক কিশোরীকে অপহরণের পায়তারা শুরু করে। ভুক্তভোগী আসামিদের ভয়ে এ কথা কাউকে কিছু বলে নাই।
গত ১৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ভুক্তভোগী বসত ঘর সংলগ্ন পুর্ব পাশের পেছনে খালি জায়গায় প্রস্রাব করার জন্য যায়। পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা প্রধান অভিযুক্তসহ এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় জোরপূর্বক কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে বাদী নিজে ও তার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় খোঁজাখুজির একপর্যায়ে গত ১৯ মে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচহাট ধনু নদীর নৌকা ঘাটে ভুক্তভোগীকে দেখতে পায়। বাদী ও তার লোকজনকে দেখে অভিযুক্ত যুবক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার শেষে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। মামলার বাদী এসব তথ্য এজাহারে উল্লেখ করেছেন।