নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় সিএনজি চালিত দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোফাজ্জল হোসেন (৪০) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশার আরো ছয় যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মোফাজ্জল বারহাট্টা উপজেলার মহাজনপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে।
আহতরা হলেন- উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হেলিম মিয়া (৩৯), মোসা. রুপা আক্তার (২২), একামনি (২০), আব্দুল হাকিম (৫৫), নার্গীস আক্তার (৩৫), মো. নাসির মিয়া (২২) ও গুমুরিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বারহাট্টা উপজেলার স্বল্প দশাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মোফাজ্জল যাত্রী নিয়ে বারহাট্টা থেকে নেত্রকোনা যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার স্বল্প দশাল এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোফাজ্জলসহ উভয় অটোরিকশার সাত জন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের সদস্যরা গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মমেক হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
গুরুতর আহত যাত্রী বাদশা মিয়া বলেন, সিএনজি অটোরিকশা করে নেত্রকোনা থেকে বারহাট্টায় যাচ্ছিলাম। স্বল্প দশাল এলাকায় এসে সিএনজি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।একপর্যায়ে আমি আর কিছুই বলতে পারিনি। দুটি গাড়িই সড়কের মাঝ বরাবর বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিল।
বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় সাত জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে এসে বারহাট্টা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে একজন আমাদের ছাত্রদলকর্মী আছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। সেইসাথে আমাদেরকে তাদের পাশে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোফাজ্জল হোসেন নামে এক সিএনজি চালককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এখন তারা লাশ দাফন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। দাফন শেষে বিকেলের দিকে হয়তো আসতে পারেন।