নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে তৌহিদ (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের পর প্রত্যাখ্যান ও পারিবারিক টানাপড়েনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও বিভ্রান্তি।
কেন্দুয়া থানা সূত্রে জানা যায়, আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা গত রবিবার (১৮ মে) কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগে উল্লেখ, তার মেয়ে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন ও পূর্বে ধনচাপুর গ্রামের তৌহিদ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে হুমকিও দেওয়া হতো।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৭ মে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে কিশোরী তার আত্মীয় ছদ্দু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেদিন সন্ধ্যায় মনিহারি দোকানে যাওয়ার সময় তৌহিদ তাকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তৌহিদ পালিয়ে যান। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়।
তবে স্থানীয় সূত্রে ভিন্ন বর্ণনা উঠে এসেছে। তাদের দাবি, দুই বছর আগে কিশোরী ছদ্দু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে তৌহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এরপর নিয়মিত ধনচাপুরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতেন। ঘটনার দিন বিয়ের প্রস্তাবে দেখা করতে আসেন কিশোরী। সন্ধ্যায় তারা বাগানে সাক্ষাৎ করলে স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে হট্টগোল শুরু করেন। পরে কিশোরীর পরিবার তৌহিদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও প্রত্যাখ্যাত হলে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সেলিম বলেন, ঘটনার পেছনে প্রেমঘটিত বিরোধ না প্রকৃতপক্ষে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা। সে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ায় বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা গ্রেফতার নিশ্চিত করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে গ্রেফতার করে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।