ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কার্যালয়ে নজরদারি করার অভিযোগ উঠেছে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে। উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেন তিনি। পরে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই এ কাজ করায় উপাচার্যের নির্দেশনায় ক্যামেরা খুলতে বাধ্য হন কর্মচারীরা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে উপ-উপাচার্য।
জানা যায়, কিছুদিন আগে উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য আইসিটি সেলে নোট পাঠান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী । পরে কাজ শুরু করতে দেরি করায় আইসিটি সেলের ইলিয়াস জোয়ার্দারের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ‘ইউনিক কম্পিউটার’ নামক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি।
সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজে নিয়জিত কর্মচারী তুষার বলেন, উপ-উপাচার্য স্যার আমাকে বলেছিলো যে,’ উপাচার্য স্যারের ঐ জায়গায় অনেক ঝামেলা হয়, আমি অফিস থেকে যেতে দেরি হয়। এজন্য মাঝে মাঝে রাগারাগি করে। তুমি ঐ জায়গায় একটা ক্যামেরা দিয়ে দাও।’ পরে আমি ক্যামেরা লাগিয়ে উপ-উপাচার্য স্যারের অফিসে ক্যামেরাগুলোর কানেকশন করে চলে আসি।
ক্যামেরা খোলার বিষয়ে তিনি বলেন,
আজকে সকালে বিল সাবমিট করতে আসলে উপাচার্য স্যার ডেকে নিয়ে রাগারাগি করে ক্যামেরা খুলে ফেলতে বলেন। পরে স্যারের কার্যালয়ের সামনের ক্যামেরা খুলে ফেলছি।
এ বিষয়ে ইউনিক কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের দোকানদার পারভেজ বলেন, আমাদের পোলাপাইন প্রোভিসি স্যারের কথা অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ করছিল। পরে কি সমস্যার কারণে খুলে রাখছে। সিসি ক্যামেরা কোথায় কোনটা কানেকশন করেছে ঐটা তো আমি ক্লিয়ার বলতে পারবো না। যারা কাজ করেছে তারা ভালো বলতে পারবে।
এ বিষয়ে উপাচার্যের পিএস গোলাম মাহফুজ মঞ্জু বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকায় এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রক্টর স্যার ভালো বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান আলী বলেন, ‘উপ-উপাচার্য স্যার অনেকদিন আগে আমাদেরকে ফাইল পাঠাইছিলো। ঐ ফাইল এখনো চলমান আছে। তারপরে উপাচার্য স্যার সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এরমধ্যে আর একটা বিষয় আমি শুনেছি,
উপ-উপাচার্য স্যারও ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। সে বিষয়ে আমিও কনফার্ম না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘ উপ-উপাচার্য স্যার সিসি ক্যামেরা তার কার্যালয়ে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে উপাচার্য স্যারের কার্যালয়ের সামনে একটা ক্যামেরা লাগানো হয়। উপাচার্য স্যার বিষয়টি জানতে পারলে তা খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন,’যারা কাজ করেছে তারা বুঝতে ভুল করেছে। আমি তাদের বলেছি তিন তলার সিঁড়িতে একটা লাগাতে যেটার কানেকশন থাকবে আমার রুমে। আর উপাচার্য স্যারের রুমের সামনের ক্যামেরার কানেকশন থাকবে উপাচার্য স্যারের রুমে।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।