নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনায় আট বছরের এক মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের (অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ধর্ষণ) চেষ্টার অভিযোগে এক অটো রিকশা চালককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে কাছে হস্তান্তর করেছে। আটককৃত অটোরিকশা চালক মাসুম (২৭) জেলার আটপাড়া উপজেলার পালপাড়া গামের নুরুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থী আটপাড়া উপজেলায় হলেও নেত্রকোনা শহরে একটি মাদরাসার ছাত্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত মাসুমকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান। এরআগে গত সোমবার সন্ধ্যায় আটপাড়ার ব্রজের বাজার ব্রীজের কাছে জনৈক সুরেশের বাড়ির সন্নিকটে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নেত্রকোনা শহরে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। গত সোমবার বিকেলে নেত্রকোনার মাদরাসায় যাবার জন্য ছাত্রের মা সেতুর বাজার থেকে সিএনজি চালিত অটোতে তুলে দেন ভুক্তভোগীকে। নেত্রকোনা সদরে দুইগ্গা এলাকায় এসে ভুক্তভোগী মাদরাসায় যায়নি। সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফিরে যাবার জন্য মাসুমের অটোরিকশা ১৮০ টাকায় ভাড়া নির্ধারণ করে ফিরতে ছিলেন। কিছুদূর আসার পর অটোরিকশা চালক ভুক্তভোগীকে বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে ব্রজের বাজারের কাছে একটি ব্রিজের কাছে জনৈক সুরেশের বাড়ির সন্নিকটে অটোরিকশা থামায়। কিছু কিনে দেবার কথা বলে অটোচালক ভুক্তভোগীকে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে গিয়ে ছাত্রের পায়জাম খোলেন।
এসময় জঙ্গলে ভেতর সরু পথ দিয়ে মামুন নামে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে জনৈক মামুন উপস্থিত হন এবং এলাকায় লোকজনদেরকে ডেকে ঘটনাস্থলে জড়ো করেন। পরে স্থানীয়রা অটোচালককে আটক করে। খবর পয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক মাসুমকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা দায়ের করা ধর্ষণ করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্ত মাসুমকে আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।