পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সিকিউরিটি এবং পুষ্টি বিভাগের এক জন সংযুক্ত অধ্যাপক। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা গতানুগতিক রাজনীতিতে অভ্যস্ত হলেও তিনি তরুণ প্রজন্মের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে জ্ঞান ও উন্নয়ন কেন্দ্রিক নতুন ধারার ব্যতিক্রমী রাজনীতির পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় কাজ করতে গিয়ে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতরের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অনেক রাজনীতিবিদের তুলনায় তার চিন্তা-চেতনা অনেকটাই ব্যতিক্রম। তিনি গতানুগতিক রাজনৈতিক চর্চা না করে কিভাবে রাজনীতির গুণগত মান উন্নত করে মেধাভিত্তিক রাজনীতি চালু করা যায়, সে বিষয়ে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের মেধাবীদের উদ্বুদ্ধ করছেন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এফেয়ারস সেল এর পরিচালক ও সেক্রেটারি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন ফর ফুড সিকিউরিটি এন্ড সাসটেনাভেল এগ্রিকালচার (আই সি এফ এস এ), মালয়েশিয়া ড: হাচিব মোহাম্মদ তুষার এর সাথে গত ৩ মে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি জানান যে, দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলা ঝালকাঠির কৃতী সন্তান হিসেবে তার নিজ জেলা থেকে পরিবর্তনের ধারা শুরু করতে যাচ্ছেন।
তিনি দেশের মেধাবী তরুণদের চাহিদাকে বিবেচনা করে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক মডেল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থাপনে বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, কৃষি ও চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজের মেধাবী তরুণদের কাজে লাগিয়ে এই তিন সেক্টরে দৃশ্যমান পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় তিনি নিজ জেলা থেকে তার কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।
তার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তার নিজ জেলার মেধাবীদের নিয়ে ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ও গবেষণা ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই ফোরামের আওতায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের নিমিত্তে অর্থ সংগ্রহের কাজে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু দেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে চাইছেন।
তার এই উদ্যোগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশালের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, তার এ প্রচেষ্টা সফল হলে মেধাবী তরুণরা সমাজ পরিবর্তনের যে স্বপ্ন দেখছেন তা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।