দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উনিশ বছর বয়সী এক তরুণীকে আবাসিক হোটেলে ধর্ষণ করার মামলায় কারাগারে যাওয়া সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে নির্দোষ দাবী করেন মা খাদিজা আক্তার। তিনি জানান, ছাত্রদলের ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা সাজানো ও পরিকল্পিত। মামলার বাদী ওই তরুণী ও যুবক মুন্না নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ও প্রকৃত ধর্ষনকারী মুন্না।
ওই তরুণী পতিতা। তাই এ মামলা প্রত্যাহার, রহস্য উদঘাট, ন্যায় বিচার ও ছেলের মুক্তির দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, ছেলে দুর্জয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে জড়িত থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। কিছুদিন ধরে তাকে বিভিন্নভাবে মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য কতিপয় ব্যক্তি বন্ধু দাবী করে মেলামেশা করে আসছিলো যা আমার ছেলে বুঝে উঠতে পারেনি। সম্প্রতি ধর্ষণ কার্যক্রমের যে নাটক সাজিয়ে মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, সাজানো ও পরিকল্পিত। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। খাদিজা আক্তার আরও বলেন, মূলত যে নারী দুর্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, সে প্রকৃতপক্ষে একজন দুশ্চরিত্রা মেয়ে।
সে একজন কলগার্ল। সে খবরও আমার জেনেছি। তার অসামাজিক এবং কুকর্মের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। দুর্গাপুর থানার ওসিকে দোষারোপ করে খাদিজা আক্তার বলেন, মামলার বাদীর জবানবন্দি অনুযায়ী এফআইআরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুন্নার সাথে রিসোর্টে অবস্থান করে আসছিল ওই মেয়ে। স্থানীয় লোকজন তা টের পেয়ে গেলে ওসি মাহমুদুল হাসান রিসোর্টে গিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসেন এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উৎকোচের বিনিময়ে ছাত্রলীগ কর্মী মুন্নাকে বাঁচানোর জন্য আমার ছেলেকে ধর্ষনের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে দুর্গাপুর থানার একটি পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
উৎকোচের বিনিময়ে ওসি এই ধর্ষণের নাটকটি সাজিয়ে দেয়। সেজন্যই ছাত্রলীগকর্মী ও প্রকৃত ধর্ষণকারী মুন্নাকে রক্ষা করে ছাত্রদল নেতা দুর্জয় কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উঠানো অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান মোবাইল ফোনে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। আমরা আইনের ভিতরে থেকে যা ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে যে মামলা দিয়েছে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করেছি। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার বা বিবাদী পক্ষ তাদের আধিকার আছে সংবাদ সম্মেলন করে তারা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে। মামলাটি তদন্তাধীন, তদন্ত হয়ে প্রকৃত ঘটনা এই তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে।