নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধান খেতে বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ করেছে। ফলে এই এলাকার কৃষক পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এ কারণে পুরোপুরি পাকার আগেই তারা ধান কাটতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) উপজেলার নাজিরপুর ও লেংগুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মাঠে মাঠে বোরো আধা কাঁচা-পাকা ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। শিষের ভারে নত ধানগাছ। এসব খেতের কিছু কিছু অংশের ধানগাছ মরে গেছে। কিছু কৃষককে খেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিতেও দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ২১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাওরে চার হাজার ৬৩০ হেক্টর ও অন্যত্র ১৬ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওরের ৮৫ ভাগ ও নন হাওরের ৩০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।
নাজিরপুর এলাকার কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, তিনি এ বছর ছয় একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ধান পুরো না পাকতেই দুই একর জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমন করেছে। তাই বাধ্য হয়ে তিনি আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। আর যে গুলো বেশি কাঁচা সেগুলোতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, যেসব জমিতে আলো বাতাস কম থাকে সেসব জমিতে বাদামি গাছফড়িং (কারেন্ট পোকা) বেশি আক্রমন করে। প্রাথমিক অবস্থায় কীটনাশক ছিটিয়ে এটি দমন করা যায়। উপজেলায় অল্প জমিতে এই পোকা আক্রমন করেছে।
ইতিমধ্যেই উপজেলায় হাওর ও নন হাওর সবমিলিয়ে ৪৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকী পাকা ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।