রুহুল আমিন, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ”ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের” মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ”তুহিন ভাইয়ের সমর্থক গোষ্ঠী” ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ”তুহিন ভাইয়ের সমর্থক গোষ্ঠীর” ব্যানারে ডিমলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শুটিবাড়ি-ডিমলা মোড়ের স্মৃতি অম্লানের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সাবেক সদস্য মহিলা দল কেন্দ্রীয় সংসদ ও সাবেক সভাপতি ডিমলা উপজেলা মহিলা দল-অধ্যাপিকা সেতারা সুলতানার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে
আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেল, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি স্বপনুজ্জামান স্বপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তবিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাল উদ্দিন, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাগর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ইসলাম, খগাখরিবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী মর্তুজা তুষার, যুবদল নেতা মফিজার রহমান, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভুয়া মামলায় গ্রেফতার করে সরকার আমাদের কি মেসেজ দিতে চাচ্ছো। বিগত আওয়ামী সরকারের রোষানলে পরে আমাদের প্রিয় নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বিদেশে থাকতে বাধ্য হন। তিনি ১৮ বছর ১ মাস ১৫ দিন পর দেশে এসেছেন। প্রয়োজনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয় মাটি ও মানুষের নেতা তুহিন ভাইয়ের মুক্তি নিশ্চিত করবো।
তারা অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি দেন, দাবি আদায় না হলে নীলফামারী জেলায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।